জাতীয়

বাংলাদেশে মার্কিন সহায়তা বন্ধে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌ্হিদ হোসেন ছবি: সংগৃহীত

ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট(ইউএসএআইডি)  বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার অর্থায়নে বাংলাদেশে বাস্তবায়নাধীন সব প্রকল্প ও কর্মসূচির ব্যয় অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকারকে জানানো না হলেও এটিকে প্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

রোববার(২৬ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এক নির্বাহী আদেশে বিদেশি সহযোগিতা বন্ধ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও বিদেশি দূতাবাসগুলোতে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। তবে এই স্থগিতাদেশ জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং ইসরাইল ও মিশরের জন্য সামরিক তহবিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের  তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য ৬৮ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেছে। ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ি, আসছে  ৯০ দিনের জন্য সব মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যেসব দেশের জন্য বৈদেশিক সহযোগিতা স্থগিত করা হয়েছে সেগুলো বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা খতিয়েও দেখা হচ্ছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) ইউএসএইড বাংলাদেশ কার্যালয়ের পরিচালক রিচার্ড অ্যারন সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সব স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠনের জন্য এ নির্দেশনা জারি করে চিঠি দেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশেও সব মার্কিন সহায়তা বন্ধের প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, আমি এটার উত্তর এখন দিতে পারব না। কারণ, আমার কাছে এরকম কিছু আসেনি। তবে এটা ইতোমধ্যে পত্রিকায় চলে এসেছে। মোটামুটি এটা প্রত্যাশিত ছিল।

বাংলাদেশের সাবেক এই পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ৯০ দিনের জন্য সব ধরনের তহবিল বন্ধ রাখছে। উনি (মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প) কিন্তু নির্বাচনের আগে থেকে বলছিলেন, এগুলো বিবেচনা করে নতুন করে দেখবেন। তারা বিবেচনার জন্য সময়টা নিয়েছে, এভাবে তো বলেছে। ধরে নেওয়া যায়, এ ধরনের তহবিল কমবে; এটা তো সবাই আশঙ্কা করছিল।

রোহিঙ্গাদের বাৎসরিক অর্থায়নে প্রভাবের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটা নতুন বাস্তবতায় তো আসছি। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত না। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট এসেছেন। তার যে নীতিমালা সেগুলো যে আগের থেকে ভিন্ন, এটা সবাই জানতেন। আমাদের দেখতে হবে, আসলে শেষ অবধি কি দাঁড়ায় এবং যেকোনো পরিস্থিতি যখন সৃষ্টি হবে তখন সেটা আমাদের ম্যাটারস বিহাইন্ডে বের করতে হবে; কীভাবে আমাদের স্বার্থরক্ষা করতে হবে।

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন