আন্তর্জাতিক

গোপনে বাংলাদেশে এসে টিউলিপের তথ্য নিয়েছে ব্রিটিশ গোয়েন্দারা

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাপারে তথ্য নিতে গোপনে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন দেশটির জাতীয় অপরাধ সংস্থার (এনসিএ) কর্মকর্তারা। এনসিএ'র একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (এসি) এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আনা আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা। 

শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি)  ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল'র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে হওয়া এই বৈঠকে ব্রিটিশ দলকে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানান, তারা ৪২ বছর বয়সী টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নতুন তথ্য যোগাড় করতে সমর্থ হয়েছেন। ব্রিটিশ কর্মকর্তারা এখন টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাংক হিসাব যাচাই, ই-মেইলের তথ্য যাচাই এমনকি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডাকতে পারে।

টিউলিপ সিদ্দিক ও শেখ হাসিনা ছাড়াও গোটা শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৩ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ চুক্তি সই করেন। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিকও। বলা হচ্ছে, টিউলিপ এতে মধ্যস্থতা করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

বাংলাদেশের একটি সূত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, ব্রিটিশ দলটি ব্রিটেনে বালাদেশি কর্মকর্তাদের দ্বারা টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ চুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এছাড়া তারা টিউলিপের বিরুদ্ধে হয়ত তদন্ত করতে পারে। টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে সেগুলো যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তার ১০ বছর বা তারও বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।

বাংলাদেশি এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের এনসিএ-এর কর্মকর্তারাই এই গোপন বৈঠকটি আয়োজনের প্রস্তাব দেয়। এরপর ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন এটি আয়োজন করে।

এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসেও এনসিএ'র কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। সে সময় তারা বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিলেন।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন