যে কারণে মহামণ্ডলেশ্বরের পদ থেকে বিতাড়িত মমতা কুলকার্নি
ধুমধাম করে সন্ন্যাস নিয়েছিলেন মমতা কুলকার্নি। কিন্নড় আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর করা হয়েছিল তাকে। সঙ্গে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এই উপাধি তিনি আর ব্যবহার করতে পারবেন না। মাত্র ৭ দিনেই কিন্নড় আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর পদ হারালেন মমতা কুলাকার্নি। তার বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকার অভিযোগ তুলেছেন কিন্নড় আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা ঋষি অজয় দাস। সম্প্রতি এক বিবৃতি পেশ করে একথা জানিয়েছেন ঋষি অজয়। তবে শুধুই মমতা কুলকার্নি নয়, মমতাকে এই উপাধি দেয়ার জন্য আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর ড. লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীকেও সরিয়ে দেয়া
ঋষি অজয় দাসের অভিযোগ, তাকে না জানিয়েই মমতাকে আখড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এমনকী, তার অজান্তেই মমতা মহামণ্ডলেশ্বর হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আখড়ার নিয়মভঙ্গ করা হয়েছে।
নব্বইয়ের বোল্ড নায়িকাদের তালিকায় প্রথমসারির নাম মমতা কুলকার্নি পর্দায় সাহসী পোশাক থেকে সাহসী দৃশ্যে লাস্যময়ী মমতা ছিলেন নজরকাড়া।
যে পাঁচটি কারণে মমতার এই উপাধি কেড়ে নেয়া হয় বলে বলা হয়েছে, তা হলো-
প্রথমত কিন্নর আখড়ার প্রাথমিক উদ্বেগ মমতা কুলকার্নির সরাসরি মহামণ্ডলেশ্বর পদে নিযুক্তি ঘিরে। কিন্নর আখড়ার যুক্তি, কুলকার্নির উচিত ছিল মহামণ্ডলেশ্বর উপাধির জন্য বিবেচিত হওয়ার আগে প্রথমে ত্যাগের পথ গ্রহণ করা, সন্ন্যাসী হওয়া। আখড়ার মতে, এই নীতিমালা অনুসরণ করা হলে, বর্তমান বিতর্ক এড়ানো যেত। কিন্নর আখড়ার জারি করা সরকারি বিবৃতিতে এই অবস্থান স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, চলচ্চিত্র জগতে মমতা কুলকার্নির সাহসী ইমেজ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। জানা গেছে যে ১৯৯০-এর দশকে তার টপলেস ফটোশুটের বিরুদ্ধে অসংখ্য কিন্নর আখড়া সদস্য আপত্তি জানিয়েছিলেন।
তৃতীয়ত, মমতা কুলকার্নির নামও আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে মমতা চলচ্চিত্র জগত ছেড়ে দুবাইয়ে মাদক সম্রাট ভিকি গোস্বামীকে বিয়ে করেছিলেন। এক পর্যায়ে, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে।
চতুর্থত, মহামণ্ডলেশ্বর হওয়ার জন্য একটি মৌলিক নিয়ম হল যে ওই ব্যক্তিকে অবশ্যই সন্ন্যাসী হতে হবে এবং মাথা ন্যাড়া করতে হবে। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে মাথা ন্যাড়া না করে সন্ন্যাস বৈধ বলে বিবেচিত হয় না। তবে, মমতা কুলকার্নি সন্ন্যাসী ছিলেন না, এবং তিনি মাথা ন্যাড়াও করেননি।
পরিশেষে, কিন্নর আখড়ার নিয়ম অনুসারে, আখড়ার সন্ন্যাসীদের গলায় বৈজয়ন্তী মালা পরতে হবে। তবে, মমতা কুলকার্নি রুদ্রাক্ষ মালা পরতেন। মমতা কুলকার্নির মহামণ্ডলেশ্বর উপাধি কিন্নর আখড়ার নিয়ম অনুসারে ছিল না।
মমতা কুলকার্নিকে ঘিরে একটি বৃহৎ অংশের অস্বস্তি থেকেই আখড়ার সদস্যদের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এই অস্বস্তির ফলে শেষ পর্যন্ত কিন্নর আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা মমতা কুলকার্নি এবং আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী উভয়কেই বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, এক সাক্ষাৎকারে মমতা দাবি করেছেন, অতীতে তাকে যে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখা গিয়েছিল, তার কারণ তিনি সচেতন ছিলেন না। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই ওই ফোটোশুটের প্রস্তাব তার কাছে আসে এবং সে সময় তিনি এর মধ্যে আপত্তিকর কিছু থাকতে পারে বলে বুঝতেই পারেননি।
Rishi Ajay Das, founder of Kinnar Akhara, expels Mamta Kulkarni from the Akhara. He has also expelled Mahamandaleshwar Laxminarayan Tripathi from the Kinnar Akhara for inducting Mamta Kulkarni, who is accused of treason, to the Akhara and designating her as Mahamandaleshwar… pic.twitter.com/Hhzezst49r
— ANI (@ANI) January 31, 2025
জেএইচ