জাতীয়

আন্দোলন স্থগিত করলেন জুলাই অভ্যুত্থানে সাজাপ্রাপ্ত সেই প্রবাসীরা

প্রধান উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব শাব্বীর আহমেদের আশ্বাসে ১০ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানে মধ্যপ্রাচ্যে সাজাপ্রাপ্ত প্রবাসীরা। এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জন্য ফাউন্ডেশন গঠন, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা, দুবাইতে নো এন্ট্রি তুলে নেয়াসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ঘুরে এসে দলের সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ এ কথা জানান।

প্রবাসী শ্রমিকরা বলেন, জুলাই মাসে বাংলাদেশে যখন আন্দোলন শুরু হয়, তখন প্রবাসে থেকে তারাও আন্দোলন করেছিলেন। এ কারণে তাদের জেলে যেতে হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপে তারা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। কিন্তু দেশে ফেরত পাঠানোর কারণে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, পরিবার নিয়ে কষ্টে আছেন। কষ্টের কথাগুলো জানাতেই এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছেন।

খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিবের সঙ্গে তাদের ৫ টি দাবি নিয়ে কথা হয়েছে। যেহেতু প্রধান উপদেষ্টা আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি আরব আমিরাত যাবেন, সেজন্য প্রবাসীদের দাবিগুলো নিয়ে আজকেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলবেন বলে সচিব আশ্বাস  দিয়েছেন এবং নোট আকারে এসব দাবি প্রধান উপদেষ্টাকে দেয়া হবে, যাতে তিনি আমিরাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে পারেন।

এরও আগে, সকাল সাড়ে দশটায় বাংলামোটর মোড় থেকে একটি মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে অগ্রসর হয়। মিছিলটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে এলে পুলিশ তাদের ব্যারিকেড দেয়। পরে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এখানেই তারা অবস্থান করেন। পরে রমনা জোনের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা এসে তাদের সঙ্গে কথা আশ্বস্ত করেন।

 বেলা ১২টার দিকে আন্দোলনরত ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের ছয়জন প্রতিনিধিকে নিয়ে রমনা জোনের ডিসি আলোচনার জন্য নিয়ে যান। তখন প্রতিনিধি দলে খালেদ সাইফুল্লাহসহ আরও ছিলেনমীর রাজিব, মিজানুর রহমান, ইয়াসিন অপূর্ব, নাঈম ও মাইনুদ্দিন।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন