বিএনপি কখনোই চায় না অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হোক : গয়েশ্বর

বিএনপি কখনোই চায় না অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হোক। এ দেশের মালিক জনগণ। বিএনপি চায় জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে সরকার দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করুক। তা না হলে দেশের ভেতরে বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিবেশ আরো তীব্র হবে। সুতারাং যত দ্রুত নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে দেশের জন্য ততই মঙ্গল। কারণ, বিএনপি চায় না এই সরকার (অন্তর্বর্তী) ব্যর্থ হোক। বললেন দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ বুধবার বিকেলে লালমনিরহাট শহরের রেলওয়ে মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্য বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উত ঘটানো, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং দেশে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলা-চারটি মূল দাবিসহ বিভিন্ন জনদাবিতে দলের ৬৭টি সাংগঠনিক জেলায় আজ থেকে ৯ দিনের সমাবেশ কর্মসূচি শুরু করেছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবেই এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ছাত্রদের কোটা সংস্কার থেকে শুরু করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সব কিছুতেই বিএনপির সরব অংশগ্রহণ ছিল। স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী মারা গেছেন। অনেকে চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছেন। সুতারাং যারা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তারা বিষয়গুলো ভেবে দেখবেন।
গয়েশ্বর বলেন, কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের মূল্য পাচ্ছে না। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। এ জন্য স্বৈারাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আমরা জীবন বাজি রেখে আন্দোলন করিনি। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। সাধারণ মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ এই মূহূর্তে খুবই জরুরি।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপিকে বারবার নির্মূল করার চেষ্টা করা হয়েছে। শত চেষ্টা করেও বিএনপি নিঃশেষ করা যায়নি। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বিএনপিকে আন্দোলনের মাধ্যমে মরতে শিখিয়েছে। আমরা মরতে ভয় পাই না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কখনো কারো কাছে মাথা নত করেননি। আমরাও মাথা নত করবো না। দেশনায়ক তারেক রহমান জনগণের কণ্ঠস্বর। নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে বলে অনেকেই সহ্য করতে পারছে না। তবে যে যাই বলুক না কেনো ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে দেশের জনগণ বিএনপিকেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাবে।’
বিএনপিই সবার আগে আগে রাষ্ট্রের সংস্কারের কথা বলেছে- উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘রাষ্ট্রের সংস্কারের জন্য বিএনপি ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
এই ৩১ দফার মাধ্যমে আগামীতে রাষ্ট্র সংস্কার হবে, সবকিছু এর মধ্যেই রয়েছে। প্রয়োজনে আরো কিছু সংযোজন. বিয়োজন হতে পারে। সুতারাং সংস্কারের কথা বলে জাতীয় নির্বাচন প্রলম্বিত করা যাবে না।’
লালমনিরহাট জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপি সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলু।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলামসহ লালমনিরহাট জেলা বিএনপির নেতারা।
জেএইচ