ধর্ম

আয়নাঘরের বিভীষিকা যেন আর ফিরে না আসে: শায়খ আহমাদুল্লাহ

প্রখ্যাত ইসলামি আলোচক ও সমাজসেবক শায়খ আহমাদুল্লাহ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আয়নাঘরের বিভীষিকাময় দিনগুলো যেন এই দেশে আর কখনো ফিরে না আসে, সেই আশা প্রকাশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তিনি তার স্ট্যাটাসে বলেন, ‘আয়নাঘরের সেই ভয়াবহ ও বীভৎস দিনগুলো যেন এই দেশে আর কখনো ফিরে না আসে।’

এর আগেও আয়নাঘর নিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেছিলেন, গুয়ানতানামো বে কিংবা আবু গারিব কারাগারের নাম শুনলেই আমাদের গা শিউরে ওঠে। চোখের সামনে ভেসে ওঠে লোমহর্ষক নির্যাতনের মর্মান্তিক সব দৃশ্য। অথচ আমরা এখন আয়নাঘরের যে বীভৎসতার খবর জানছি, তা যেন গুয়ানতানামো বে, আবু গারিব কারাগারকেও হার মানায়।

গতকাল বুধবার শায়খ আহমাদুল্লাহর সে কথার প্রমাণ মিলেছে। রাজধানীর কচুক্ষেত, আগারগাঁও এবং উত্তরা এলাকার তিনটি আয়নাঘর পরিদর্শন করেন ড. ইউনূস। যেগুলো স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টর্চার সেল এবং গোপন বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহার হতো। পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টাসহ উপস্থিত প্রতিনিধিরা সেখানে ইলেকট্রিক চেয়ারসহ নির্যাতনের জন্য ব্যবহৃত উপকরণ দেখতে পান।

এসময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগীরা তাদের নির্যাতনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।

আয়নাঘর পরিদর্শনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এরকম টর্চার সেল সারা বাংলাদেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে। আগে আমার ধারণা ছিল যে আয়নাঘর বলতে শুধু কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানকে বোঝায়। কিন্তু এখন আমি শুনছি যে আয়নাঘরের বিভিন্ন সংস্করণ সারা দেশজুড়ে বিদ্যমান। কেউ বলছে সংখ্যাটা ৭০০, কেউ বলছে ৮০০। সে সংখ্যাটা এখনো নিরূপণ করা যায়নি, কতটা জানা আছে, কতটা অজানা আছে। 

তিনি আরও যোগ করেন, ইতিহাসে 'আইয়ামে জাহেলিয়াত' নামে একটি অন্ধকার যুগের কথা বলা হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার যেন সেই আইয়ামে জাহেলিয়াতকে সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে। আয়নাঘর তার একটি মাত্র উদাহরণ।

 

এসি//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন