দেশজুড়ে

ফুলের চাহিদা বেড়েছে, তবু লোকসানের আক্ষেপ বিক্রেতাদের

রাজধানীর প্রধান পাইকারি বাজার শাহবাগে ফুলের চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে। তবে বিক্রেতাদের মতে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় তারা কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না। একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আশা রয়েছে।

রাতের শেষ প্রহরে ভোরের আলো ধরণীকে ছুঁয়ে যাওয়ার সময়ে জমজমাট হয়ে ওঠে পাইকারি এবং খুচরা ফুলের বাজার। শাহবাগে পাইকারি বাজারে ফুল কিনতে তাই দুর-দূরান্ত থেকে আসেন বহু ক্রেতা-বিক্রেতা।

বসন্তের পাশাপাশি দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। চলছে অমর একুশে বইমেলা। সব মিলিয়ে কদর বেড়েছে গোলাপ, রজনীগন্ধা, গ্ল্যাডিওলাসহ নানা ফুলের। তবে সরবরাহ বেশি আর ক্রেতা কম থাকায় লোকসানের দাবি করলেন পাইকারি বিক্রেতারা। এর ওপর শবে বরাত উপলক্ষেও কমেছে চাহিদা জানালেন কেউ কেউ।

বিক্রেতাদের মতে, উৎপাদন খরচ মেটানো এবং লাভ করা এবার বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে তারা আশা করছেন, আসন্ন একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভালো দাম পেলে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

ভালোবাসা দিবস ও ফাল্গুনের মৌসুমকে ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারও ফুলের বাজার জমজমাট হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না। অনেকের মতে, ১৪ ফেব্রুয়ারি নিয়ে সরকারি উপদেষ্টাদের দ্বিধাবিভক্ত মন্তব্য ফুলের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

গত বছরের তুলনায় এবার ফুলের দাম কিছুটা কমলেও বিক্রেতারা লাভের আশা করছেন। তবে তারা মনে করেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে ফুলের বাজারও আরও সুসংহত হতো। পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতাদের এই মতামত বাজারের চলমান অবস্থাকে প্রতিফলিত করছে।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন