আন্তর্জাতিক

শিশুসহ চার বন্দির মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে হামাস

ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আটক করা বন্দিদের মধ্যে ৪ জনের মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশু, তাদের মা ও ৮৪ বছরের এক বৃদ্ধা। হামাসের দাবি, তারা বন্দিদের যথেষ্ট যত্ন নিলেও দখলদার ইসরাইলের বর্বর বোমা হামলায় এদের মৃত্যু হয়েছে।

গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে গেলো বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চারজনের মরদেহ রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস।

কফিন হস্তান্তরের সময় হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধারা এলাকাটি ঘিরে রেখেছিল। প্রতিটি কফিনের উপর পরিচয় শনাক্তের জন্য একটি করে ছোট ছবি লাগানো ছিল। নিরাপত্তার স্বার্থে এ সময় রেডক্রসের গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে সরে যায়।

মরদেহগুলোর মধ্যে ছিলো, ৪ ও ৯ মাস বয়সী অ্যারিয়েল ও  কেফির বিবাস, তাদের মা শিরি বিবাস (৩৩) এবং ওদেদ লিফশিতজের (৮৪) মরদেহ।

হামাস আরো জানায়, ৮০০ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে শনিবার আরও ছয় জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে তারা।

সংগঠনটি বলেছে, অপরাধী নেতানিয়াহু বন্দিদের কফিনে ফেরত পেয়ে শোক প্রকাশ করছে। কিন্তু এটি কেবল তার নিজের দোষ ঢাকার অপচেষ্টা। আমরা বন্দীদের জীবিত রাখার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু ইসরাইলি বাহিনীর লাগাতার হামলার কারণে তারা নিহত হন। নেতানিয়াহুর যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কারণেই বন্দিদের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি একটি সতর্কবার্তায় জানিয়েছেন, জীবিত বন্দিদের ফেরত পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো বন্দি বিনিময় চুক্তি। গোষ্ঠীটি সতর্ক করেছে যে, যদি ইসরাইলি সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে বন্দিদের উদ্ধারের চেষ্টা করে, তবে তারা আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

 

ফিলিস্তিনের এক মুখপাত্র জানিয়েছে, হামাসের হাতে বন্দি থাকা অবস্থায় ওই চারজনই জীবিত ছিলেন। কিন্তু ‘জায়নিস্ট দখলদার বাহিনীর বিমান হামলায়’ তারা নিহত হন।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন