দুপুরে ভারত-পাকিস্তান হাই ভোল্টেজ ম্যাচ, পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ রোববার (২৩ জানুয়ারি) আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত পাকিস্তান মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় ম্যাচটি শুরু হবে।
বিশ্ব ক্রিকেটের ‘এল ক্লাসিকো’ খ্যাত এই ম্যাচের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বশেষ ২০১৭ আসরের ফাইনালিস্ট। ভারতে ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ২০১৭ আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয় পাকিস্তানের বর্তমান সময়টা তেমন ভালো যাচ্ছে না। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ ভারত হয়েছে দুর্দান্ত ফর্মে। গেলো আসরের হিসাব এখনো বাকি রয়েছে তাদের।
ভারতীয় ওপেনার শুভমান গিল জানিয়েছেন, এই ম্যাচের সাথে অনেক ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। তাই হয়তো এই ম্যাচ নিয়ে এতো উত্তেজনা। তবে তার মতে যেকোনো আসরে ফাইনাল ম্যাচ হচ্ছে বড় ম্যাচ।
গিল আরও বলেন, পাকিস্তানকে হারাতে হলে আগে ব্যাটে নেমে ৩০০ থেকে ৩২৫ রান করতে হবে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দলের ওপরই চাপটা বেশি থাকবে।
আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার হুঁশিয়ারিও দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচ নিয়ে আমরা অবশ্যই ইতিবাচক এবং আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চাই। এই উইকেটে ৩০০-৩২৫ খুব ভালো স্কোর হবে। মাঝের ওভারে যে দল ভালো ব্যাটিং করবে, তারা জেতার আরও ভালো সুযোগ পাবে। শিশির না থাকলে টস কোনো ব্যাপার হবে না।’
উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬০ রানের বড় ব্যবধানে হারা পাকিস্তান দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান প্রধান কোচ আকিব জাভেদ পেসনির্ভর জানিয়েছেন, প্রত্যেকটা দল তাদের শক্তির উপর নির্ভর করে ম্যাচ খেলে। তাদের দলের শক্তি পেস বলাররা।
‘প্রত্যেকটা দলই নিজেদের শক্তির ওপর নির্ভর করে ম্যাচ খেলে। আমাদের শক্তি পেস বোলিং। ১৯৯০ দশকের কথা মনে পড়ছে, আর ভারতের বিপক্ষে খেলা সব সময়ই বিশেষ। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে সবসময়ই আলাদারকমের উন্মাদনা থাকে। এই খেলা থেকেই ক্রিকেটারদের উঠে আসার সুযোগ থাকে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে খেলা সব সময়ই বিশেষ। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে সবসময়ই আলাদারকমের উন্মাদনা থাকে। এই খেলা থেকেই ক্রিকেটারদের উঠে আসার সুযোগ থাকে।’
ম্যাচ পরিসংখ্যান বলছে, ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ১৩৫ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও ভারত। এরমধ্যে পাকিস্তানের জয় ৭৩টিতে, ভারতের জয় ৫৭টিতে। পাঁচটি পরিত্যক্ত হয়। তবে সর্বশেষ ১৫ ম্যাচ বিবেচনায় এগিয়ে ভারত। ১০টিতে জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। পাকিস্তানের জয় চারটিতে। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। এছাড়া সর্বশেষ ৬ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জয় আছে ভারত।
এমএ//