কর্মবিরতিতে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা

ফেসবুকে লেখালেখির কারণে ২৫ ক্যাডারের ১২ জন কর্মকর্তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আজ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন এসব ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
রোববার (২ মার্চ) দেশব্যাপী কর্মবিরতি পালন করেন এসব সরকারি কর্মকর্তারা।
কর্মবিরতির অংশ হিসেবে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সামনে কালো ব্যাজ পরে কর্মকর্তারা অবস্থান নিয়েছেন। এর ফলে দপ্তরগুলোর স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর খামারবাড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ক্যাডাররা অবস্থান নেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ কে এম বাহারুল ইসলাম তালুকদার বলেন, 'ক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সকল ক্যাডারের সমতা ও ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার- এই তিন দাবিতে আমরা যখন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে যাচ্ছি, তখন আমাদের অনেক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, যার প্রতিবাদে আজ আমরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছি।'
তিনি আরও বলেন, 'এটা কোনো সরকারবিরোধী আন্দোলন নয়। এটা আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন',
কর্মবিরতীর অংশ হিসেবে বেলা ১১টার দিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) প্রাঙ্গণে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা অবস্থান নেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, ‘শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা নানা বৈষম্যের শিকার। এই ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে আমি কর্মবিরতি সংহতি প্রকাশ করি, কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনে আলোচনার মাধ্যমে আমি সব সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানাই।’
ক্যাডার সদস্যদের অনেকেই মামলা বা হয়রানির শিকার, এগুলো নিয়ে যেন আইনগত একটি সুন্দর সমাধান আসে সেজন্য এই কর্মবিরতি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গতকাল শনিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেন পরিষদের সমন্বয়ক মফিজুর রহমান।
এসময়ে তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্টরা সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেবেন। এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান না হলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
আই/এ