আন্তর্জাতিক

এক্সে দেওয়া বিবৃতিতে জেলেনস্কি

বৈঠকে ঘটনাটি দুঃখজনক, ট্রাম্পের সব প্রস্তাবে রাজি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বাগাবতণ্ডার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একইসঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে কাজ করতে ইউক্রেন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের জন্য সব ধরনের সামরিক সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর মঙ্গলবার(৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

নিজের সোস্যাল হ্যান্ডল এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে দেওয়া বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, শুক্রবার ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে আমাদের বৈঠক যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। এভাবে ঘটনাটি হওয়াটা দুঃখজনক। এখন সঠিক কাজ করার সময়।

একই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে কাজ করতে  ইউক্রেন প্রস্তুত উল্লেখ করে ওই বিবৃতিতে জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘আমার টিম ও আমি প্রস্তুত রয়েছি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অধীন শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে, যেটা স্থায়ী হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেন যেকোনো সময় এবং যেকোনো শর্তে নিরাপত্তা ও খনিজ চুক্তি করতেও রাজি আছে বলেও জানান  প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

গেলো শুক্রবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সামনে বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কি। বৈঠকের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।

কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে বসে এভাবে কথা বলার সাহস দেখায়নি কেউ। স্মরণকালে সামনাসামনি দুই নেতার এমন বাগ্‌বিতণ্ডা বিরলই বটে। শুক্রবার ওয়াশিংটনের হোযাইট হাসে  বাঘে মহিষের এই বিরল লড়াই প্রত্যক্ষ করে গোটা বিশ্ব  প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চটে গিয়ে জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে চলে যেতে বলেন। শুধু তাই নয়, হোয়াইট হাউজে দুপুরের খাবারও খেতে পারেন নি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।  হো্য়াইট হাউজের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো যৌথ সংবাদ সম্মেলনও বাতিল হয়ে যায়।

ওই বৈঠক শেষে দুই প্রেসিডেন্টের যৌথ সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়। তা ছাড়া ইউক্রেনের বিরল খনিজ পদার্থ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও তা আর হয়নি।

এই বৈঠকের পর ওই ঘটনার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এরপর ইউক্রেনকে সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন