গাজায় বিদ্যুৎ ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করা যুদ্ধাপরাধ: হামাস

ইসরাইল কর্তৃক গাজায় বিদ্যুৎ ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়াকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে হামাস। টানা কয়েকদিন ধরে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের বিদ্যুৎ ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ রেখেছে ইসরাইল। বুধবার (১২ মার্চ) তুরস্কভিত্তিক সংবাদসংস্থা আনাদোলু এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে জানায়, ১৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরাইলের চলমান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা এবং দেইর আল-বালাহ ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ সরবরাহের সীমিত লাইন সম্প্রতি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, যা তৃষ্ণার্ত মানুষের বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি করেছে।
হামাস জানিয়েছে, ইসরাইল বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে পানি ও খাদ্যকে ব্যবহার করছে। এটি গাজার মানবিক বিপর্যয়কে আরও খারাপ করার একটি পদ্ধতিগত প্রচেষ্টার অংশ।
বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানায়, যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তি সত্ত্বেও ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডের ওপর অবরোধ আরোপের সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে গেলো রোববার (৯ মার্চ) ইসরাইল গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার ফ্রান্সেসকা আলবানিজ ইসরাইলি এই পদক্ষেপকে “গণহত্যার সতর্কতা” হিসেবে নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন, বিদ্যুৎ ছাড়া পরিষ্কার পানি পাওয়া যাবে না।
গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করার ইসরাইলি সিদ্ধান্তের পরে স্থানীয় এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো ফিলিস্তিনি জনগণের অনাহারের সম্মুখীন হওয়ার বিষয়েও সতর্কতা জারি করেছে ফ্রান্সেসকা আলবানিজ।
গাজার বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির মুখপাত্র মোহাম্মদ থাবেত বলেন, গেলো নভেম্বর থেকে ইসরাইল গাজায় মাত্র পাঁচ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। সম্প্রতি ইসরাইল গাজার বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করেছে।
হামাস আরও জানায়, ইসরাইলের গাজা ক্রসিং বন্ধ এবং খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ বন্ধ করা গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এই বর্বর অপরাধ বন্ধ করতে, অবরোধ তুলে নিতে এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের সামনে ইসরাইলি নেতাদের জবাবদিহি করতে জাতিসংঘ, মানবিক সংস্থা এবং আরব রাষ্ট্রগুলোকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হামাস।