শেষ হয়নি তেলের বাজারে অস্থিরতা, কাঁচাবাজারে স্বস্তি

নিত্যপণ্যের দামের ওঠানামা এবং বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট নিয়ে ভোক্তাদের দুর্ভোগ প্রায় সারাবছরই চলে। ভোক্তাদের ঘায়েল করতে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের এ বছরের প্রথম অস্ত্র ছিলো ভোজ্যতেল। বছরের শুরু থেকেই কিছুদিন পর পর বাজার থেকে বোতলজাত তেল উধাও হয়ে যাচ্ছিলো। যদিও কিছুদিন যাবত বাজারে তেলের সরবরাহ বেড়েছে, তবে তা পুরোপুরি স্থিতিশীল হয়নি। তবে স্বস্তির খবর চলতি বছরের শুরু থেকেই নিম্নমুখী নিত্যপণ্যের বাজার।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর কাপ্তান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দ্রব্যমূল্য ক্রেতাদের নাগালে রয়েছে।
বিক্রেতারা গণমাধ্যমে জানায়, রোজার শুরুর সময় কেনাকাটার বাড়তি চাপ থাকে। তবে এবার এ সময় পণ্যের সরবরাহ থাকায় দাম মোটামুটি ক্রেতার নাগালের মধ্যে। কিছুকিছু ব্যবসায়ী সুযোগ নিয়ে দাম বাড়িয়ে দেন। তবে চাহিদা কিছুটা কমায় দামও কমেছে।
বাজারে দেখা যায়, বেগুন, মরিচ, শসা ও টমেটোর দাম কিছুটা কমেছে। বেগুন বর্তমানে ৬০-৯০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ২০-২৫ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর দাম এখনও চড়া, হালি প্রতি ৪০-৮০ টাকা। আলু ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে, আলু ২০-২৫ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে, ব্রয়লার ১৮০-২১০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিম ১২০ টাকা ডজন দরে বিক্রি হচ্ছে।
গরু ও খাসির মাংসের দাম কিছুটা বেড়েছে, খাসির মাংস ১১৫০ টাকা এবং গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে দেখা যায়, চাষের রুই ৩৫০-৩৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, কই ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শিং ৪৫০ টাকা এবং চিংড়ি ৬৫০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে চালের বাজারে অস্বস্তি রয়ে গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। ২৮ জাতের চাল ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এমএ//