থানা হাজতে আসামির মৃত্যু, পুলিশের দাবি আত্মহত্যা
ভোলায় থানার হাজতখানায় মো. হাসান নামে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ তাকে আটক করেছিলো। হাসান ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ভোলা মডেল থানায় এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মো. আবু সাহাদাত হাসনাইন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ঈদের দিন দুপুরের দিকে বাড়ির পাশের একটি নারী হাসানের বাসার ফ্রিজে মাংস রাখতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন। ওই নারী তার বাসায় গিয়ে এমন অভিযোগ করলে, নারীর পরিবারের সদস্যরা হাসানকে মারধর করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশে খবর দেন।
এরপর পুলিশ হাসানকে আটক করে আনুমানিক রাত ৮টার দিকে হাজতখানায় আটকে রাখে। রাত ১২টা ১৮ মিনিটের সময় দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল দেখেন হাসান হাজতখানার বাথরুমে জায়নামাজ ছিঁড়ে ঝুলে রয়েছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসানের বিরুদ্ধে এরআগেও একটি নারী নির্যাতন ও একটি চুরির মামলা রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
অপরদিকে নিহতের মা শাহনাজ পারভিন ও নিহতের নানা আব্দুল হাফেজ মিজির দাবি, ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে বহু বছর ধরে তাদের জমি-জমার বিরোধ রয়েছে। এটাকে কেন্দ্র করে মিথ্যে ধর্ষণের নাটক করে তারা হাসানকে গণধোলাই দেন। হাসানের মৃত্যুর জন্য ওই নারীর পরিবারকে দায়ী করছেন তিনি।
লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আই/এ