ঋত্বিকের স্ট্যাটাসে গাধার ছায়া, ‘ময়ূর রঞ্জন’ নামেই সর্বনাশ!

অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী বুঝিয়ে দিলেন- সৃজনশীল মানুষ রাগলে শুধু গালি দেন না, গাধাকেও কবিতা বানিয়ে ছাড়েন! আর সেই কবিতার ছন্দে এবার তাল কাটলো রিপাবলিক বাংলার চিৎকার-করা সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের।
শুক্রবার সকালে নিজের ফেসবুকে হঠাৎই এক ‘রঙিন প্রাণীর’ নামকরণ করেন ঋত্বিক: ‘ধরুন একটা গাধার নাম দিলেন ময়ূর, আর পাশে রঙ লাগালেন রঞ্জন- তাহলে হয়ে গেল ‘ময়ূর রঞ্জন’।‘
স্ট্যাটাসটা এমন ঝাঁজালো আর স্যাটায়ারে মোড়ানো ছিল যে, মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। হাসির রোল পড়ে যায় নেটমহলে। কেউ বলেন “সেরা পোস্ট”, কেউবা সরাসরিই বুঝে ফেলেন- টার্গেট একটাই, রিপাবলিক বাংলার কুখ্যাত সঞ্চালক।
বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো, হাত-পা ছুড়ে চেঁচিয়ে খবর পড়া, এমনকি সংবাদ উপস্থাপনকে নাটকের মঞ্চে পরিণত করার অভিযোগে আগেও বহুবার সমালোচনায় পড়েছেন ময়ূখ রঞ্জন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো অভিনেতার কাব্যময় খোঁচা।
নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়াতেও মিলেছে স্পষ্ট সমর্থন।
একজন মন্তব্য করেছেন, ‘একদম ঠিক বলেছেন, দাদা!’
আরেকজন কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘গাধাও যদি মানুষ হতো, তাহলে বলত- আমার অপমান করলেন কেন ‘
উল্লেখ্য, ময়ূখ রঞ্জন রিপাবলিক বাংলার হেড অব ইনপুট হিসেবে কাজ করছেন এবং টালিগঞ্জের বিভিন্ন তারকার সঙ্গেও তার ওঠাবসা রয়েছে। তবে তার উপস্থিতিতে মাঝেমধ্যেই তারকারাও পড়েন অস্বস্তিতে- যেমন অভিনেতা দেব ও রুক্মিণী। তাই নেটিজেনের খোঁচা, ‘দেব আর থাকবে না দাদা এবার থাকবে না, রুক্মির কাছে দেব থাকবে না।’
বলতে গেলে, খবরটা যতটা ‘সংবাদ’, তার চেয়েও বেশি এক ধরণের ‘সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া’- যেটা সমাজের একাংশের দীর্ঘদিনের বিরক্তিকে মজার ছলে প্রকাশ করে ফেললেন ঋত্বিক চক্রবর্তী।
এসি//