পরীক্ষার হলে খাতা না দেখানোয় সহপাঠীকে হত্যা

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে খাতা না দেখানোয় সহপাঠীদের মারধরে ইমন হোসেন (১৬) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৮ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে এনায়েতপুরের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের স্বজনেরা জানান, ১৭ এপ্রিল এনায়েতপুর ইসলামী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার সময় কয়েকজন সহপাঠী ইমনের খাতা দেখতে চেয়েছিলো। ইমন রাজি না হওয়ায় পরদিন ১৮ এপ্রিল বিকেলে বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর নতুন পাড়ায় ডেকে নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে। এতে ইমনের মাথার বাম পাশের খুলি ভেঙে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তারা জানান, গত বুধবার অসুস্থ ইমনকে ঢাকা থেকে বাড়িতে আনা হলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে পুনরায় গতকাল শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে আবার হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বাবা এমদাদুল মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, মারধরের ৮ দিন পার হলেও দুই থানার দায়িত্ব এড়িয়ে চলার কারণে এখনো কোনো মামলা হয়নি।
এ বিষয়ে এনায়েতপুর থানার ওসি রওশন ইয়াজদানি বলেন, তারা জিডি অনুযায়ী লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম. মনসুর আলী হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি ঘটেছে বেলকুচি থানা এলাকায়। এবিষয়ে ব্যবস্থা বেলকুচি থানা নেবে।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকেরিয়া ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে এনায়েতপুর থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেছেন। নিহতের পরিবার থানায় এসেছে। মামলা নেয়ার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। মামলা হওয়ার পরে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আই/এ