১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর, বিসিবির ব্যাখ্যা

সম্প্রতি এক গুঞ্জন ওঠে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির এখতিয়ারে একাধিক ব্যাংকে ১২০ কোটি টাকা সরানো হয়েছে। এই খবরের একাধিক ব্যাখ্যা সামনে আসতে থাকে। তবে এই গুঞ্জনটি যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে, তা ঠিক নয়। মূলত বিসিবি ১৪ টি ব্যাংকে ২৫০ কোটি টাকা স্থানান্তর করেছে এবং এর পেছনে বিসিবির একটি নিজস্ব ব্যাখ্যা রয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিসিবির পক্ষ থেকে এ সম্পর্কিত একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতীয় গণমাধ্যমের একটি অংশে বিসিবির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয় এবং বোর্ড ও এর সভাপতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রচার করা হয়েছে।‘
বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘২০২৪ সালের আগস্টে দায়িত্ব গ্রহণের পর সভাপতি ফারুক আহমেদ বিসিবির আর্থিক স্বার্থ রক্ষায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেন। এর অংশ হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকগুলো থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত গ্রীন ও ইয়েলো জোনভুক্ত ১৩টি ব্যাংকে পুনঃবিনিয়োগ করা হয়। উত্তোলিত টাকার মধ্যে ২৩৮ কোটি টাকা পুনঃবিনিয়োগ এবং ১২ কোটি টাকা বোর্ডের দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।‘
বিসিবি জানিয়েছে, সভাপতির একক সিদ্ধান্তে কোনো ব্যাংক পরিবর্তন বা আর্থিক লেনদেন হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বোর্ডের আর্থিক লেনদেন পরিচালনায় ফাইনান্স কমিটির চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা এবং টেন্ডার ও পারচেজ কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম যৌথভাবে স্বাক্ষর করেন। বোর্ড সভাপতি এ সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাক্ষরকারী নন। সুবিধাভোগী ও ষড়যন্ত্রকারী মহল বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
বোর্ড বলছে, ‘বর্তমানে বিসিবির স্থায়ী আমানত দেশের ১৩টি নির্ভরযোগ্য ব্যাংকে সংরক্ষিত আছে। নতুন ব্যবস্থাপনায় আমানত থেকে ২-৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত মুনাফা অর্জিত হয়েছে। পাশাপাশি, গত ছয় মাসে তিনটি ব্যাংকিং অংশীদার থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকার স্পনসরশিপ এবং অবকাঠামো উন্নয়নে আরও প্রায় ২০ কোটি টাকার বিনিয়োগের আশ্বাস পাওয়া গেছে।‘
আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বিসিবি বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি, গণমাধ্যমগুলোকে তথ্য যাচাই করে প্রতিবেদন প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
এমএইচ//