আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

স্টোকস-বেয়ারস্টো ঝড়ে উড়ে গেল ভারত

দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের সামনে পাহাড়সম টার্গেট ৩৩৭ রান। অথচ এ রান তাড়া করতে নেমে  প্রথম পাঁচ ওভারে তুলতে পেরেছিল মাত্র ১৭ রান। কিন্তু ম্যাচ শেষে জয় কিন্তু সেই ইংলিশদেরই। তখনো কি ভারতের বোলাররা জানতো তাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে!

শুরুতেই ইংল্যান্ডকে রয়-বেয়ারস্টো জুটি ভালো একটা সূচনা এনে দিয়েছিল। প্রথমে ধীরগতিতে রান তুললেও উইকেটে থিতু হওয়ার সাথে সাথেই মারতে শুরু করেন দুই ইংলিশ ওপেনার। ফলে সাড়ে তিনের কম রান দিয়ে শুরু করা ইংল্যান্ড ১৬ ওভারে ১০০ রান পার করে সাড়ে ছয়ের কাছাকাছি রানরেটে।

ইনিংসের ১৭তম ওভারে ব্যক্তিগত ৫২ বলে ৫৫ রান করে রানআউটের শিকার হন জেসন রয়। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বেয়ারস্টো সঙ্গী হিসেবে পান বেন স্টোকসকে।

মূলত এরপরই ভারতীয় বোলারদের উপর স্টিমরোলার শুরু হয় তখনই। এই দুই ইংলিশ ব্যাটসম্যান ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে রাস্তার বোলারে পরিণত করেন। বেয়ারেস্টো যখন সেঞ্চুরি করেন তখন স্টোকসের রান ৩৪ বলে ৩৯ রান। এরপরের পুরো সময়টা শুধু নিজের করে নেন ইংলিশ অলরাউন্ডারের। চার-ছক্কায় ভারতের বোলারদের বল আছড়ে ফেলতে থাকেন মহারাস্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে।

দারুণ এক ইনিংস খেলে ৫২ বলেই সেঞ্চুরিটা তুলে নিতে পারতেন। ভুবনেশ্বরকে পুল খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় বল লাগিয়ে উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্তের হাতে ৯৯ রানে ক্যাচ আউট হন। অথচ ফিফটির পর ১২ বলে তুলেছিলেন ৪৯ রান। পুরো ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন ৪টি চার ও ১০টি ছক্কা দিয়ে।

এরপরে লিভিংস্টোন আর ডেভিড মালান ৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। লিভিংস্টোন ২১ বলে ২৭ আর মালান ২৩ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

ইংল্যান্ড ৩৯ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে সিরিজে ১-১ সমতা আনে।

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন