৬৯০ টাকার সরকারি এলপি গ্যাস নিয়ে হরিলুট

সিলিন্ডারজাত সরকারি গ্যাস বিক্রয়ে অনিয়ম ও এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৬ মে) এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো আকতারুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪১ বছর ধরে বিপিসি বছরে গড়ে ১২ লাখ গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করছে। সেটা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। অথচ ১৩০০ থেকে ১৩৫০ টাকা বিক্রি হয় সেই গ্যাস।এতে প্রতিবছর লুটপাট হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা। ডিলার থেকে শুরু সরকারি কর্মকর্তা পর্যন্ত গ্যাস লুটপাট হচ্ছে এমন অভিযোগে দুদক অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে প্রাপ্ত নথি বিশ্লেষণ করে দুদক জানায়, বিপিসির সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস লিমিটেড প্রতি বছর প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেট্রিক টন এলপিজি গ্যাস, প্রায় ১৪ লাখ সিলিন্ডারে বোতলজাত করে ৪টি প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হচ্ছে, পদ্মা, যমুনা, মেঘনা ও এশিয়াটিক। যেখানে প্রতি সাড়ে ১২ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৬৯০ টাকা। এ চারটি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত ডিলারের মাধ্যমে বাজারে গ্যাস সরবরাহ করে।
আকতারুল ইসলাম জানান, অভিযানের সময় একজন ডিলার ১০-১৫ জন ডিলারের অথরাইজেশন নিয়ে একাই বরাদ্দকৃত গ্যাস উত্তোলন ও বেশি দামে বিক্রি করেছেন বলে তথ্য পায় দুদক টিম।
সার্বিক বিবেচনায়, মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স ও ভুয়া লাইসেন্স ব্যবহার করে সরকারি গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ করা হচ্ছে এমনটি দুদকের কাছে পরিলক্ষিত হয়। এতে এলপি গ্যাস লি., বিপিসি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে ব্যাপক অবহেলা ও তদারকির অভাব রয়েছে বলেও টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়। এ বিষয়ে কমিশনের পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
আই/এ