আমাদের জাতীয় জীবনে রবীন্দ্রনাথের অবদান অনস্বীকার্য : তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত গান আমাদের জাতীয় সংগীত হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত। তার সৃষ্টিতে চিরাচরিত ধারার বাইরে স্বাতন্ত্র্যবোধের পরিচয় সুস্পষ্ট আমাদের জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে বিশ্বকবির অবদান নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য।
বুধবার (৭ মে) রাতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘‘আমাদের জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে বিশ্বকবির অবদান নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য। এশিয়া মহাদেশে প্রথম নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে ঔপন্যাসিক, কবি, সংগীতস্রষ্টা, কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা, চিত্রকর ও দার্শনিক হিসেবে বিরল প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।
তিনি বলেন, “তার অনন্য সৃষ্টিকর্মে গভীর জীবনবোধ এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি আত্মনিবেদন মানুষের হৃদয়কে গভীরভাবে আন্দোলিত করে।১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়ে সারা বিশ্বে বাংলা ভাষার মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বাংলা সাহিত্যে এটিই একমাত্র নোবেল পুরস্কার। রবীন্দ্রনাথের লেখা গান ‘আমার সোনার বাংলা' বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। ”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিবৃতিতে বলেন, “ ধর্ম-লোকাচার, রাজনীতি ও সমাজচিন্তা এবং বিশ্বভাবনায় এই স্বাতন্ত্র্যবোধ তার বিশাল সাহিত্য সংস্কৃতির পরিমণ্ডলে বাংলা ভাষাভাষীর মানসলোক নির্মাণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বাংলা ভাষাভাষীরা কবির জন্মদিবসটি পালন করে হৃদয়উৎসারিত আবেগ ও পরম শ্রদ্ধায়।”
তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার অনন্য সৃষ্টিতে একদিকে যেমন মানুষের মূঢ়তা, স্থবিরতার বিপন্ন ছবি ফুটিয়ে তুলেছিলেন, আবার অন্যদিকে তিনি অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর সব অচলায়তন ভেঙে বিশেষ অগ্রসর জাতিসমূহের কীর্তিময় অর্জনগুলোকে গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
“আবার বাংলা বাংলাভাষীর জনগোষ্ঠীর অনিন্দ্য সুন্দর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের উপাদানসমূহ এবং মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ সুর ও বাণীর অনন্য ব্যঞ্জনায় ফুটিয়ে তুলেছেন তার প্রতিভাদীপ্ত সৃষ্টিকর্মে।”
কবির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তার আত্মার শান্তি কামনা করে তার জন্মবার্ষিকীতে সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
আই/এ