দুই বোনকে নৃশংসভাবে হত্যা

রাজধানী মিরপুরের শ্যাওড়াপাড়া এলাকায় দুই বোনকে ছুরিকাঘাত ও শিল–পাটার আঘাতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) রাত ১১টার দিকে পুলিশ ভাড়া বাসা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন মরিয়ম বেগম (৬০) ও তার ছোট বোন সুফিয়া বেগম (৫২)।
মিরপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মরিয়ম বেগম পশ্চিম শ্যাওড়াপাড়ার ৬৪৯ নম্বর নার্গিস ভবনের দ্বিতীয় তলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। তার স্বামী কাজী আলাউদ্দিন বন বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন। ঘটনার সময় তিনি বরিশালের বাবুগঞ্জে বিশেষ কাজে ছিলেন। নিহত সুফিয়া বেগম অবিবাহিত ছিল এবং তিনি বড় বোন মরিয়মের সঙ্গেই থাকতেন।
শুক্রবার (০৯ এপ্রিল) সকালে মরিয়মের মেয়ে নুসরাত জাহান (বৃষ্টি) তাদের বাসায় রেখে গুলশানে নিজ কর্মস্থলে যান। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দরজায় নক করে সাড়া না পেয়ে নিজের চাবি দিয়ে ভেতরে ঢুকেন। ঢুকে দেখেন তার মা ডাইনিং রুমে রক্তাক্ত অবস্থায় এবং খালা শোবার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন। নুসরাতের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং পুলিশে খবর দেন।
ওসি মো. সাজ্জাদ জানান, দুই নারীর মাথায় শিল–পাটার আঘাত এবং পেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি ও শিল–পাটা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বাসা থেকে কোনও মূল্যবান সামগ্রী খোয়া যায়নি এবং বাসার দরজা, জানালা ও গ্রিল অক্ষত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে সকালের পর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে কোনও পরিচিত ব্যক্তি ওই বাসায় ঢুকে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যেতে পারে।
ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, হত্যার উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। মরিয়মের মেয়েও এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারছেন না। তবে আমরা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণসহ সবদিক থেকে তদন্ত করছি।
এসকে//