ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা
মার্কো রুবিও ও ইসহাক দারের জরুরি ফোনালাপ

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা যখন চরমে, ঠিক সেই সময় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরালো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
শনিবার (১০ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।
ট্যামি ব্রুস বলেন, ফোনালাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও দুই দেশকে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সরাসরি যোগাযোগ পুনঃস্থাপন জরুরি। তিনি আরও বলেছেন, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের সংঘাত আর না ঘটে, সেজন্য গঠনমূলক সংলাপ শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার ফোনালাপ শেষে সামা টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসলামাবাদ শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহী এবং উত্তেজনা কমাতে প্রস্তুত। তবে শর্ত সাপেক্ষে, তিনি বলেন—ভারতকে অবশ্যই যেকোনো ধরনের সামরিক আগ্রাসন থেকে বিরত থাকতে হবে।
দার আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ভারত উত্তেজনা বাড়ায়, তাহলে পাকিস্তান তার চেয়ে জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখাবে। ফলে উত্তেজনা প্রশমনের দায়িত্বভার মূলত ভারতের ওপরই বর্তায়।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ভারত এ হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপালেও ইসলামাবাদ তা নাকচ করেছে। এরপরই শুরু হয় সীমান্তে পাল্টাপাল্টি অভিযান। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাকিস্তান চালিয়েছে ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’।
সামরিক দিক থেকে দুই দেশের পাল্টাপাল্টি দাবি এখনো অব্যাহত। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানিয়েছেন, করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় ভারতের ২৯টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। আর ভারতের দাবি, পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা প্রতিহত করা হয়েছে।
যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের বিষয়টি ভারত স্বীকার না করলেও রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তান চীনের তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। এর মধ্যে অন্তত একটি ছিল ফ্রান্সের তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান।
এসি//