জাতীয়

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণঅধিকার পরিষদের স্মারকলিপি

গণঅধিকার পরিষদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সাব্বির আহমেদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন ছবি: গণঅধিকার পরিষদ

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচার, আহতদের পুনর্বাসন ও শহীদ পরিবারকে ক্ষতিপুরণ এবং হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার সহযোগিদের বিচারের  দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।

শনিবার দুপুর ২টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গিয়ে  প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব  সাব্বির আহমেদের কােছে  স্মারকলিপি প্রদান করেন।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন।

পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে স্মারকলিপি পাঠ করেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান। স্মারকলিপিটি বায়ান্ন টিভির পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।

‘১০-০৫-২৯২৫ ইং

বরাবর

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বিষয়: ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ, গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার, আহতদের পুনর্বাসন, শহীদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, শহীদ ও আহতদের প্রকৃত তালিকা প্রণয়নের অগ্রগতি এবং ডামি রাষ্ট্রপতি, হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের দেশ ছাড়া প্রসঙ্গে।

জনাব,

গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন। ইতোমধ্যে আপনার সরকারের মেয়াদ ৯ মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে আপনার সরকারের কোন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি। আ.লীগের বিষয়ে জনগণের সেন্টিমেন্ট অত্যন্ত নেতিবাচক। ইতোমধ্যে আওয়ামীলীগের নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। জনগণের এই দাবি পূরণে গণঅধিকার পরিষদ জাতীয় সংলাপের প্রস্তাব করছে। এছাড়া গণহত্যার বিচার নিয়ে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। দ্রুতসময়ে বিচার নিষ্পত্তিকরণে ন্যূনতম ৫ টি ট্রাইবুনাল গঠনের প্রস্তাব করছে গণঅধিকার পরিষদ। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, এখন পর্যন্ত শহীদ ও আহতদের প্রকৃত তালিকা তৈরির কাজ শেষ হয়নি। শহীদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের পুনর্বাসন নিয়ে সরকারের চিন্তা ও পদক্ষেপ যথেষ্ট দৃশ্যমান নয়। যাদের রক্ত ও সংগ্রামের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাদের যথাযথ মর্যাদা ও ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব করছে গণঅধিকার পরিষদ।

এছাড়া গণমাধ্যমের তথ্যমতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবুজ সংকেত পেয়ে ডামি রাষ্ট্রপতি, হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদ তার পুত্র ও শ্যালককে নিয়ে গত ৮ মে, বৃহস্পতিবার রাত ৩.০৫ টায় দেশ ছেড়েছে। আপনার সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সে কিভাবে দেশ ছাড়লো? এবিষয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। গণঅধিকার পরিষদ উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছে।

নিবেদক,

মোঃ রাশেদ খান

সাধারণ সম্পাদক

গণঅধিকার পরিষদ

০১৭৪৬৭৩৮২১৬

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন