২৪ এর বীর শহিদদেরও জাতি কখনো ভুলবে না
নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে শহীদদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়তে হবে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান বলেছেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। আরও একবার ভুল করা চলবে না। জনগণের সরাসরি ভোটে, জনগণের প্রতি জবাবদিহিমূলক নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়েই শহীদদের কাঙ্ক্ষিত একটি ইনসাফভিত্তিক গণতান্ত্রিক, মানবিক বাংলাদেশ গড়তে হবে। এর মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি আমাদের ঋণ পরিশোধের এখনই সময়।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং শহীদ পরিবারের সম্মাননা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। যেভাবে জাতি ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের ভুলে যায়নি, ঠিক একইভাবে ২৪’র বীর শহিদদেরও কখনো ভুলবে না।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে গণআন্দোলনে দেশের মানুষ সুন্দর ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষায় বারবার অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু এরপরও সাম্য-ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশের স্বপ্ন অধরাই থেকেছে। বারবার দেশের কাঁধে চেপে বসেছে ফ্যাসিবাদ আর অপশাসনের ভূত।
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের শেকল ছিঁড়ে বাংলাদেশের মানুষ এখন মুক্ত। সেই গণআন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়, সেজন্য এখনো উদ্যোগী হতে আহ্বান জানিয়েছেন তারেক রহমান।
দেড় দশকের আন্দোলনে গুম-খুন, অপহরণ, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন হাজারো মানুষ। শুধুমাত্র ২০২৪ সালের আন্দোলনেই বিএনপির ৪২২ জনসহ প্রায় দেড় হাজার মানুষ শহিদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত, জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন এবং রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠনে ৩১ দফার রূপরেখা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা জাতীয় সরকার গঠনের মাধ্যমে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চাই। রাজনৈতিক দুর্নীতি ও দুঃশাসন রোধে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য।
অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহীদ পরিবার ও আন্দোলনে অংশ নেয়া সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সভাপতিত্ব করেন রুহুল কবির রিজভী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আই/এ