আজ থেকেই শুরু হচ্ছে পাঠাও পে
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পাঠাও। নতুন একটি সেবা নিয়ে দেশের ডিজিটাল অর্থ ব্যবস্থাপনায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। পাঠাও পে একটি শক্তিশালী ডিজিটাল ওয়ালেট। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এখন সহজেই টাকা পাঠানো, ট্রানজেকশন করা ও তাদের ফাইন্যান্স ম্যানেজ করতে পারবে।
মঙ্গলবার (০৮ই জুলাই) এই নতুন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সারাদেশে চালু হয়েছে এক নতুন ডিজিটাল সার্ভিস, যা ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেনকে আরও স্মার্ট ও নিরাপদ করবে। ‘Your YOUniverse, Your Way’ এই স্লোগানটি পাঠাও পে’র মূল ধারণাকে তুলে ধরে যেখানে প্রযুক্তি এবং সিকিউরিটি একত্রিত হয়ে একটি ব্যক্তিগত ফাইন্যান্স ব্যবস্থাপনা প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করেছে।
পাঠাওয়ের সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, পাঠাও পে শুধু একটি ডিজিটাল ওয়ালেট নয়, এটি ব্যবহারকারীদের জন্য তাদের নিজস্ব ফাইন্যান্স ইউনিভার্স তৈরি করার একটি উপায়। যা তাদের জীবনকে আরও সহজ করবে। পাঠাও ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে যথেষ্ট ভূমিকা রেখে চলেছে। পাঠাও পে ব্যবহারকারীরা এখন থেকে খাবার অর্ডার করা, রাইড শেয়ারিং নেয়া, বন্ধুদের সঙ্গে বিল ভাগ করা, কাউকে টাকা পাঠানোসহ অনেক সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া পাঠাও পে আরও নতুন কিছু দুর্দান্ত ফিচার নিয়ে এসেছে। যেমন-
পে ট্যাগ :
ব্যক্তিগত ইনফরমেশন শেয়ার না করেও সহজে টাকা রিসিভ করা যাবে।
Split Pay :
বন্ধুদের সঙ্গে বিল ভাগ করার সহজ ব্যবস্থা।
Group Send Money :
একসাথে অনেকজনকে টাকা পাঠানোর সুবিধা।
অটো-পে :
অটোমেটেড পেমেন্ট সিস্টেম, যা ট্রানজেকশনকে আরও দ্রুত এবং স্মার্ট করে তুলবে।
তাছাড়া এখন থেকে ইউজাররা সহজেই মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন এবং ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড (Visa, Mastercard, AMEX) বা নগদ ব্যবহার করে পাঠাও পে অ্যাপে মানি অ্যাড করতে পারবেন। এই লঞ্চের অংশ হিসেবে পাঠাও পে কার্ড যা মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক দ্বারা সাপোর্টেড এবং মাস্টারকার্ড পাওয়ার্ড নতুন সেবা চালু করেছে। এই মাল্টি-কারেন্সি ডেবিট কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য দেশে এবং বিদেশে সহজ এবং সুরক্ষিতভাবে অর্থ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করবে। এই কার্ডটি স্টারলিট হরাইজন, পার্পল হ্যাজ ও সানশাইন বিচ তিনটি আলাদা ডিজাইনে পাওয়া যাবে।
পাঠাও পে কার্ড ব্যবহারকারীরা রিয়েল-টাইম ওয়ালেট ব্যালেন্স সিঙ্কিং,ডুয়াল কারেন্সি সাপোর্ট,NFC Tap & Pay সুবিধা (পিন ছাড়া ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত),মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এর সব এটিএম থেকে বিনামূল্যে টাকা তোলার সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া মাস্টারকার্ডের গ্লোবাল রিচ এবং সিকিউরিটি ফিচার ব্যবহারকারীদের আন্তর্জাতিক লেনদেনে নিশ্চিন্ত নিরাপত্তা প্রদান করবে। নতুন পাঠাও পে ব্যবহারকারীরা ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাচ্ছেন। এই ক্যাশব্যাক পাওয়া যাবে পাঠাওয়ের বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করে। অর্থাৎ, পাঠাও ফুড থেকে সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা ক্যাশব্যাক,পাঠাও কার রাইড থেকে সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা ক্যাশব্যাক,পাঠাও বাইক থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা ক্যাশব্যাক,পার্সেল ডেলিভারি থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা ক্যাশব্যাক। যে কোনও ব্যবহারকারী পাঠাওয়ের এই সেবাগুলি ব্যবহার করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই ক্যাশব্যাক উপভোগ করতে পারবেন।
এসকে//