বিনোদন

আজ মুস্তাফা জামান আব্বাসী ও আসমা আব্বাসীর স্মরণে সঙ্গীত ও সাহিত্যের মহোৎসব !

ছবি: সংগৃহীত

আজ বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে দুই প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী ও লেখিকা অধ্যাপক আসমা আব্বাসী স্মরণে এক স্মরণসভা, মিলাদ মাহফিল এবং সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।  এই অনুষ্ঠানটি আব্বাসউদ্দীন কেন্দ্রীয় স্মৃতি সংসদ ও কেন্দ্রীয় ভাওয়াইয়া অঙ্গনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব হাসনাত আব্দুল হাই।  বাংলা একাডেমীর গেস্ট অব অনার হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন দেশের বিভিন্ন শাখার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করবেন আবদুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এএসএম মঈনউদ্দিন মোনেম।  

স্বাগত বক্তব্য রাখবেন আব্বাসউদ্দীন কেন্দ্রীয় স্মৃতি সংসদের সভাপতি এবং ভাওয়াইয়া অঙ্গনের চেয়ারম্যান, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব কবি সরকার মাহবুব।  অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্য দেবেন আব্বাসী কন্যা শারমিনী আব্বাসী।

আব্বাসউদ্দীন কেন্দ্রীয় স্মৃতি সংসদের নির্বাহী সভাপতি এম মনজুরুল আলম দিলু সকলকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, মুস্তাফা জামান আব্বাসী ১০ মে বনানীর একটি হাসপাতালে ৮৭ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।  তিনি ছিলেন উপমহাদেশের খ্যাতনামা সংগীত পরিবারের সদস্য।  তার পিতা আব্বাসউদ্দীন আহমেদ ছিলেন পল্লিগীতির অগ্রপথিক এবং তিনি বিশ্বব্যাপী পল্লিসংগীতকে পরিচিত করেছিলেন।  তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ সংগীতজ্ঞ, গবেষক এবং লেখক।  

তার অসংখ্য গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হচ্ছে লোকসংগীতের ইতিহাস, ভাটির দ্যাশের ভাটিয়ালি, রুমির অলৌকিক বাগান, উপন্যাস হরিণাক্ষী, স্মৃতিকথা স্বপ্নরা থাকে স্বপ্নের ওধারে, এবং ইংরেজি জীবনী।  বাংলা সংস্কৃতিতে তার অবদান অনস্বীকার্য।  একুশে পদকসহ অনেক সম্মাননা তিনি লাভ করেছেন।

অন্যদিকে, কথাসাহিত্যিক আসমা আব্বাসী ৪ জুলাই ৮৩ বছর বয়সে মারা যান।  ছোটবেলা থেকেই তিনি বই পড়ার প্রতি আগ্রহী ছিলেন।  সৈয়দ মুজতবা আলীর উৎসাহে সাহিত্যচর্চা শুরু করেন আসমা আব্বাসী।  তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি রেডিও-টিভি আলোচক ও উপস্থাপক হিসেবেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।

আসমা আব্বাসী শ্রেষ্ঠ কলেজশিক্ষক হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন।  তাছাড়া তিনি বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে কাজ করে সমাজে বিশেষভাবে প্রশংসিত ছিলেন।  তার লেখনী ও সংগঠক হিসেবে অবদান দেশের সাহিত্য ও সমাজের জন্য নতুন ধারা বহমান রেখেছে। 

এসকে// 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন