১৬ বছর বয়সীদের ভোট দেয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে, তারা ১৬ ও ১৭ বছর বয়সী তরুণদের জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে যাচ্ছে। বর্তমানে স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের আঞ্চলিক নির্বাচনে ১৬ এবং ১৭ বছর বয়সীরা ভোট দিতে পারলেও, যুক্তরাজ্যের অন্যান্য অংশে এখনো তা সম্ভব নয়।
তবে সরকারের নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, যদি পার্লামেন্ট অনুমোদন দেয়, তাহলে পুরো যুক্তরাজ্য জুড়ে ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীরা ভোট দিতে পারবে।
যুক্তরাজ্যের উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রায়নার বলেছেন, "আমরা চাই গণতন্ত্রে আরও বেশি মানুষের অংশগ্রহণ হোক, যাতে সবাই সমানভাবে ভোট দিতে পারে।" তিনি আরও বলেন, তরুণরা যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, তবে গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে।
২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৫৯.৭ শতাংশ, যা গত ২৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। সরকারের লক্ষ্য তরুণদের মধ্যে ভোট দেওয়ার আগ্রহ বাড়ানো এবং নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।
হাউস অব কমন্স লাইব্রেরি জানিয়েছে, যেসব দেশে ১৬ বছর বয়সী তরুণদের ভোটাধিকার দেওয়া হয়েছে, সেখানে নির্বাচনী ফলাফল বড় ধরনের পরিবর্তন না হলেও, ১৬ বছর বয়সীরা ভোট দিতে ১৮ বছর বয়সীদের চেয়ে বেশি আগ্রহী ছিল।
নতুন পরিকল্পনার আওতায় ভোটারদের জন্য আইডি যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ইউকে-ইস্যুকৃত ব্যাংক কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অন্যান্য ডকুমেন্টের ডিজিটাল সংস্করণকেও বৈধ প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হবে।
যুক্তরাজ্যের এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে ভোটের বয়স কমানোর প্রস্তাব আলোচনায় এসেছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মন্তব্য করেছিলেন, বাংলাদেশে ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর করা উচিত।
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের জাতীয় সংলাপে ড. ইউনূস আরও বলেন, “নির্বাচনের প্রস্তুতির দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের, তবে নাগরিকদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া উচিত। যারা ভোটার, তারা অংশগ্রহণ করবেনই; তবে যারা ভবিষ্যতে ভোটার হবেন, তাদেরও সংস্কারের কাজে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত থাকতে হবে।
এসকে//