গ্যাস লিকেজে একই পরিবারের ৫ সদস্যের প্রাণহানি
ঢাকার পুরান শহরের সূত্রাপুর এলাকার কাগজি টোলা এলাকায় একটি বাসায় গ্যাসের লাইনের ছিদ্র থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এই অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন।
তারা হলেন - রিপন পেয়াদা (৩৫), তার স্ত্রী চাঁদনী (২৮), তাদের তিন সন্তান আয়েশা (১), রোকন (১৪), এবং তামিম (১৬)। বিষয়টি গণমাধ্যমকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান নিশ্চিত করেছেন।
গেল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউ এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিপন পেয়াদা মারা যান। এর আগে তার তিন সন্তানও একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। দগ্ধ পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য চাঁদনী মারা যান ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান জানিয়েছেন, রিপনের শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তার বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায়। ১১ জুলাই দিবাগত রাত একটার দিকে যখন পরিবারের সদস্যরা ঘুমে ছিলেন, ওই সময় বাসায় গ্যাসের লাইন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
গ্যাসের আগুনে পুরো পরিবার দগ্ধ হয়ে পড়ে। রিপনের শরীরের ৬০%, তার স্ত্রীর ৪৫%, ছেলে তামিমের ৪২%, রোকনের ৬০%, এবং ছোট্ট আয়েশার ৬৩% শরীর পুড়ে যায়।
চাঁদনীর মামা জাকির হোসেন জানিয়েছেন, পরিবারটি পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষে ভাড়া থাকত। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের কক্ষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দুঃখজনকভাবে, ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ না পেয়ে পুরো পরিবার দগ্ধ হয়ে পড়ে। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়, কিন্তু চিকিৎসার পরও জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
এসকে//