উচ্চকক্ষ কোনভাবেই সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ার পাবে না
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন,উচ্চকক্ষ আইন পর্যালোচনা ও সুপারিশের কাজ করবে। কিন্তু কোনোভাবেই তারা সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ার পাবে না। উচ্চকক্ষের সদস্যরা সরাসরি নির্বাচিত না হওয়ায় তাদের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের চিন্তা গণতান্ত্রিক চেতনাবিরোধী। সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ার কেবল সার্বভৌম জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের হাতে থাকা উচিত।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২৩তম দিনের সংলাপের বিরতিতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২২ দিনের সংলাপ শেষে কমিশন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, ভোটের অনুপাতে (পিআর) ১০০ সদস্যের উচ্চকক্ষ গঠিত হবে। সংবিধান সংশোধনে সংসদের উভয় কক্ষে দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন লাগবে। বিএনপি এতে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (ভিন্নমত) দিয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিএনপি প্রস্তাব করেছে, উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের যৌথভাবে পাস হওয়া আইনের মধ্য দিয়ে একটি অংশীদারিত্বের প্রক্রিয়া গড়ে উঠুক। উচ্চ কক্ষ আইন পর্যালোচনা করবে, সুপারিশ করতে পারবে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে নিম্নকক্ষে। তবে উচ্চকক্ষের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা দেখছি, কিছু পক্ষ সংবিধান সংশোধনকে কঠিনতর করতে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে অনির্বাচিত বা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে উচ্চকক্ষে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করতে চাইছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।
অন্যান্য দল জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চাইলেও, বিএনপি কেন একমত নয়- প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, কমিশন সনদের যে খসড়া দিয়েছে, তাতে বাক্যগত সংশোধন করেছে বিএনপি। সনদের প্রস্তাব আছে সরকার গঠনের দুই বছরের মধ্যে সনদের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে হবে। বিএনপি এতে সম্পূর্ণ একমত। সনদে সংবিধান, আইন, বিধি বিধানে সংশোধনের প্রতিশ্রুতি চাওয়া হয়েছে। বিএনপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আই/এ