দেশজুড়ে

ছাত্রদল কর্মীর ছুরিকাঘাতে আরেক কর্মী নিহত

পঞ্চগড় শহরে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিরোধে ছুরিকাঘাতে জাবেদ উমর জয় (১৯) নামে সংগঠনের এক সদস্য  নিহত হয়েছেন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাতে শহরের সিনেমা হল মার্কেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) শইমী ইমতিয়াজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের আঘাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। 

হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায়  জয়কে প্রথমে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পথে অবস্থার অবনতি হলে, তাকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রেজওয়ানুল্লাহ জানান, জয়কে যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখন তার পেটের বাম পাশে ছুরির গভীর আঘাত ছিল এবং হাতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। 

নিহত জয় পঞ্চগড় শহরের পুরাতন ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা এবং ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার কলেজিয়েট ইনস্টিটিউটের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তিনি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং শহরের একটি ফল বিক্রয়কেন্দ্রে ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন।

ঘটনার পর শহরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষুব্ধ জনতা রাতেই সব দোকানপাট বন্ধ করে দেয় এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মিছিল করে। আন্দোলনকারীরা জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত জয়কে দাফন করা হবে না।

পুলিশ জানায়, দিনভর ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে। জয় এক পর্যায়ে একা সিনেমা হল মার্কেট এলাকায় গেলে, ফারাজ ইসলাম আল আমিনের নেতৃত্বে একদল প্রতিপক্ষ তার উপর চড়াও হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জয়কে ছুরিকাঘাত করা হয়। তার পেটের অংশ বেরিয়ে আসে। স্থানীয়রা দ্রুত হাসপাতালে নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি।

নিহতের ভাই আশরাফ জানান, ঘটনার আগে তিনজন মোটরসাইকেলে করে জয়কে খুঁজছিল। কিছুক্ষণ পরেই খবর আসে যে, জয়কে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। “আমরা প্রকাশ্যে ঘটে যাওয়া এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই,” বলেন তিনি।

পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রেজওয়ানুল্লাহ জানান, জয়কে যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখন তার পেটের বাম পাশে ছুরির গভীর আঘাত ছিল এবং এক হাতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তার অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক।

এএসপি শইমী ইমতিয়াজ বলেন, আল আমিন ও পারভেজ সহ কয়েকজন ঘটনার সাথে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মরদেহ ভিকটিমের বাসাতেই রয়েছে। দ্রুত সময়ে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য আনা হবে।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন