দেশজুড়ে

৪ হাসপাতাল ঘুরেও সাপে কাটা ছেলেকে বাঁচাতে পারলেন না বাবা

ছবি: প্রতীকী

স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে সাপে কাটার পর দুই জেলার চার হাসপাতালে নিয়েও অ্যান্টিভেনম না থাকায় বাঁচাতে পারেননি বাবা। এ ঘটনার পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো গ্রামে। নিহত সাকিবুল ইসলাম বড়পলাশবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র

শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে জানাজা শেষে সাকিবুলকে দাফন করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মো. আনিছুর রহমান অ্যান্টিভেনম না থাকার বিষয়টি স্বিকার করেছেন।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশে একটি দোকানে ফোন চালানোর সময় হঠাৎ দোকানের ছাউনি থেকে বেরিয়ে এক বিষধর সাপ কামড় দেয় সাকিবুলকে। তবে ওই সময়ে সাকিবুল সাপের কামড়ের বিষয়টি বুঝতে পারেনি। পরে ব্যথা উঠলে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় তার পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসক ক্ষত থেকে বুঝতে পারেন সাপ কামড়েছে। পরে তাকে অসুস্থ অবস্থায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহতের বাবা ইসরাইল উদ্দীন বলেন, চারটা হাসপাতালে নিয়ে গেছি। বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতাল থেকে হরিপুর, এরপরে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল। সেখানেও ভ্যাকসিন না পেয়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ হাসপাতাল নিয়ে গেলাম রাত তখন ১০টা বাজে। সেখানেও ভ্যাকসিন নেই, দিনাজপুর মেডিকেলে নেওয়ার পথে আমার ছেলে কোলে মারা গেছে

ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মো. আনিছুর রহমান বলেন, চাহিদা পাঠানোর পরও এন্টিভেনম দেয়নি। পরে কথা বলে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারেও এন্টিভেনম সংকট। আমরা চেষ্টা করছি নিয়ে আসার

স্থানীয়রা জানিয়েছেন,  সাকিবুলের মতো ঠাকুরগাঁও জেলায় গত দুই সপ্তাহে পীরগঞ্জের ৭ম শ্রেণির স্কুলছাত্র তারেক, রাণীশংকৈলের কলেজছাত্র মোকসেদ আলী, হরিপুরে গৃহবধু সম্পা রানীসহ ৫ জনের বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন