প্রাইভেট কার থেকে মরদেহ উদ্ধার, গাড়ির ভেতরে ঘুমানোর কথা বলেছিলনে দুজন
রাজধানীর মৌচাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের পার্কিংয়ের প্রাইভেট কার থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিদায় নেয়ার আগে ঐ দুইজন গাড়িতে ঘুমানোর কথা বলেছিলেন বলে জানিয়েছেন গাড়ির মালিক জোবায়ের আল মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।এ ঘটনায় নিহত দুজন হলেন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার রামনারায়ণপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ মিজান ও একই উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের লটকরিয়া গ্রামের জাকির হোসেন। এর মধ্যে জাকির হোসেন প্রাইভেট কারটির চালক।
জোবায়ের জানান, জাকির ও মিজান একে অন্যের বন্ধু । জোবায়ের তাঁর স্ত্রীর বড় ভাইকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে দিতে শনিবার রাতে ঢাকা যান। এ সময় গাড়িতে জাকিরের সঙ্গে তাঁর বন্ধু মিজানও উঠেন। জাকির তিন মাস ধরে তার গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করছেন।
তিনি জানান, মিজান প্রতিবেশী এক শিশুকে হাসপাতালটি থেকে নিয়ে আসতে গিয়েছিলেন। রোববার ভোরে বিমানবন্দর থেকে তাঁরা গাড়ি নিয়ে মালিবাগ এলাকায় পৌঁছান। এরপর জাকির তাঁকে মালিবাগ থেকে নোয়াখালীর একটি বাসে তুলে দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিদায় দেওয়ার সময় জাকির বলেছেন, বেলা ১১টার দিকে রোগীকে ছাড়পত্র দেবে, ততক্ষণ তাঁরা দুজন গাড়িতেই ঘুমাবেন। আমি পৌনে ১১টার দিকে জাকিরকে ফোন দিয়েও পাইনি। পরে রাত আটটা পর্যন্ত আরও কয়েকবার ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেছি, তিনি আর ফোন ধরেননি।’
গাড়ির মালিক জানান, ফোন না ধরায় জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে গাড়িটির অবস্থান দেখেন। যতবারই ট্র্যাক করছেন, গাড়ি হাসপাতালের পার্কিংয়ে দেখাচ্ছিল। উপায় না দেখে পরদিন জাকিরের নম্বর সংগ্রহ করে তাঁকে ফোন দিই। তিনিও ফোন ধরেননি। এরপর যাঁদের রোগী আনতে গেছেন, তাঁরাও বেশ কয়েকবার ফোন দেন। কিন্তু মিজান-জাকিরের সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি।’
এর মধ্যেই গতকাল সোমবার বেলা দুইটায় রমনা থানা থেকে পুলিশ তাঁকে ফোন দেয় বলে জানান জোবায়ের আল মাহমুদ। পরে তিনি নিহত দুজনের পরিবারকে বিষয়টি জানিয়ে তাঁদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
আই/এ