সীমান্তের ওপারে গুলির শব্দ, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা
দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় পর কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে আবারও শোনা গেল মিয়ানমারের গোলাগুলির শব্দ।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে শুরু হওয়া গুলির শব্দ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতে থাকে। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা চৌধুরী লালু বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তিনি জানান—“রাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের কুমিরখালী, শীলখালী ও সাইডং এলাকা থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এ কারণে অনেক রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা মো. হোসাইন বলেন—“রাখাইনে এখনো অমানবিক নির্যাতন বন্ধ হয়নি। ফলে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসা থামছে না। সীমান্তে অনেক রোহিঙ্গা জড়ো হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি।”
গেল শুক্রবার সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করা ৬২ জন রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করেছে বিজিবি। তবে সীমান্তের ওপারে এখনো হাজারো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন—“সীমান্তে কিছু লোক অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে, কিন্তু আমরা কাউকে ঢুকতে দিচ্ছি না। টহল জোরদার করা হয়েছে। গেল রাতে ওপার থেকে গোলার শব্দ শোনা গেছে, তবে সেটা আমার ইউনিটের এলাকার বাইরে।”
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান—“সীমান্তে গোলাগুলির শব্দের বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনেছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবরে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। পরে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তারা দাবি করে, মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের রাখাইন অংশের পুরো ২৭১ কিলোমিটার তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।