স্বামীকে লিভার দিলেন স্ত্রী, কিন্তু নিয়তির কাছে হার মানলেন ২জনেই
স্বামীকে বাঁচাতে নিজের দেহের অঙ্গ দান করেছিলেন স্ত্রী। লিভারের একটি অংশ কেটে দেয়া হয়েছিল ভালোবাসার মানুষকে নতুন জীবন ফিরিয়ে দিতে। কিন্তু নির্মম পরিহাস-প্রতিস্থাপনের পর প্রাণ হারালেন দু’জনেই।
ভারতের পুনেতে ঘটে গেল এই হৃদয়বিদারক ঘটনা। বিষয়টি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দফতর। বেসরকারি ওই হাসপাতালকে ইতিমধ্যেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সোমবারের (২৫ আগস্ট) মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে তাদের।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করছে, সব নিয়ম মেনেই প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। তাদের কথায়, রোগীর শারীরিক জটিলতা ছিল বহুদিনের, আর সেই কারণেই বিপদের আশঙ্কা থেকে গিয়েছিল। হাসপাতাল আশ্বস্ত করছে- চাহিদা মতো সব তথ্য-প্রমাণ তারা জমা দেবে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, বাপু কোমকার নামের ওই ব্যক্তিকে লিভারের কিছু অংশ দান করেন তার স্ত্রী কামিনী কোমকার। গেল ১৫ আগস্ট বাপুর লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পরেই বাপুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ১৭ আগস্ট তিনি মারা যান। আর ২১ আগস্ট তার স্ত্রীর সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং চিকিৎসার সময়ে মৃত্যু হয়।
পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর নাগনাথ ইয়েমপাল্লে জানিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে ওই দুই রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। রোগীদের বয়ানের ভিডিও জমা করতেও বলা হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা সব রকম তথ্য দিয়ে তদন্তে সাহায্য করতে প্রস্তুত। কোমকার পরিবারকেও সমবেদনা জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি জানিয়েছেন, বাপুর বিভিন্ন রকম শারীরিক জটিলতা ছিল। তাছাড়া এই প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়ায় কতটা ঝুঁকি থাকে, তা বাপুর পরিবার এবং অঙ্গদাতাকে বোঝানো হয়েছিল।
হাসপাতালের তরফে আরও জানানো হয়েছে, অঙ্গদানের পরে দাতা প্রাথমিকভাবে সুস্থ ছিলেন। কিন্তু হঠাৎই সেপটিক শক হয়। তার জেরে বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যু হয় তার।
সূত্র: আনন্দবাজার