আন্তর্জাতিক

বন্ধুত্ব ফিরে পেতে নিউইয়র্কের স্কুলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ

আসন্ন সেপ্টেম্বরে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার সাথে সাথে নিউইয়র্কের সব স্কুলে স্মার্টফোন, ইয়ারবাড ও স্মার্ট ওয়াচের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন গভর্নর ক্যাথি হোকুল।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) নিউইয়র্কে নায়াগ্রা ফলস হাই স্কুলে আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য ডিস্ট্র্যাকশন-ফ্রি এনভায়রনমেন্ট নিশ্চিত করা হবে।

গভর্নর বলেন, শ্রেণিকক্ষ, লাঞ্চ টাইম কিংবা স্টাডি হল—কোথাওই এয়ারপড, মোবাইল ফোন বা স্মার্ট ঘড়ি ব্যবহার করা যাবে না।

এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত এক দশকে শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মোবাইল ফোন। প্রতিদিন গড়ে ২৫০টির মতো নোটিফিকেশন শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছায়, যার বেশিরভাগই নেতিবাচক এবং ক্ষতিকর কনটেন্ট। টেক কোম্পানিগুলো শিশু-কিশোরদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। আর এ কারণেই নিউইয়র্ক দেশের প্রথম স্টেট হিসেবে অনলাইন মনিটাইজেশন বন্ধ করে দিয়েছে।

ক্যাথি হোকুলের মতে, স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাইবার বুলিং, সামাজিক চাপ এবং মানসিক অস্থিরতা দিন দিন বেড়েছে।

তিনি বলেন, ডিস্ট্র্যাকশন-ফ্রি এনভায়রনমেন্ট নীতির ফলে শিশুদের মধ্যে পরিবর্তন আসবে। তাদের মধ্যে সামাজিক বন্ধন তৈরি হবে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন আসক্তি তাদের বন্ধুদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে আবারও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসবে।

নায়াগ্রা ফলস স্কুল সুপারিনটেনডেন্ট মার্ক লাউরি বলেন, মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তৎক্ষণাৎ মস্তিষ্কে যে ডোপামিন হরমোন নিঃসরণ হয়, তার ফলে শিশু কৃত্রিম আনন্দ অনুভব করে। তাই ফোনের বিরুদ্ধে যুদ্ধটা আসলে ডোপামিন হরমোনের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ।

গভর্নরের নেতৃত্ব এবং এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে মার্ক লাউরি বলেন, শিক্ষক ইউনিয়ন, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় এ উদ্যোগ সফল করা সম্ভব।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন