দেশজুড়ে

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড ১২ কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবারও ভক্তদের অগাধ অনুদান জমা পড়েছে। চার মাস ১৮ দিন পর শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে খোলা হয় ১৩টি দানবাক্স। সারাদিন গণনা শেষে পাওয়া যায় ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা।

দানবাক্স খোলার কাজ শুরু হয় সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে। টাকা গণনা চলে টানা ১২ ঘণ্টা, শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।

এর আগে গেল ১২ এপ্রিল দানবাক্স খুলে ৯ কোটি টাকার বেশি পাওয়া গিয়েছিল। তখনকার মতো এবারও পাওয়া গেছে বিদেশি মুদ্রা, সোনা-রুপার অলংকার এবং ভক্তদের হাতে লেখা চিঠি।

ভক্তদের সুবিধার্থে গেল জুলাই থেকে চালু করা হয়েছে অনলাইন ডোনেশন প্ল্যাটফর্ম। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, দানবাক্স ছাড়াও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শুক্রবার পর্যন্ত জমা পড়েছে আরও ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সব অর্থই রূপালী ব্যাংকের মসজিদ হিসাব নম্বরে জমা রাখা হয়েছে।

গণনায় অংশ নেন মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ব্যাংককর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে ৪১০ জন। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন পুলিশ, সেনা, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা।

প্রতি তিন মাস অন্তর দানবাক্স খোলার নিয়ম থাকলেও এবার পরীক্ষাসহ নানা কারণে দেরি হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। তিনি আরও বলেন, নগদ অর্থ ছাড়াও ভক্তরা নিয়মিত গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, দুধ ও সবজি দান করেন। এসব প্রতিদিন নিলামে বিক্রি করে টাকা জমা হয় ব্যাংক হিসাবে। বর্তমানে মসজিদের হিসাবেই রয়েছে প্রায় ৯১ কোটি টাকা।

পাগলা মসজিদের সাড়ে ৫ একর জমির পাশাপাশি নতুন জমি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি ১০ তলা মাল্টিপারপাস মসজিদ কমপ্লেক্সের নকশা তৈরির জন্য।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন