ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, ঘটনা তদন্তে দুই কমিটি
ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে রিট করা এক ছাত্রী ও ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দিতাকারি এক প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি দেয়ার ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় তিন সদস্যের এবং ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশন দুই সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি করেছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী এস এম ফরহাদ এবং ‘অপরাজেয় ৭১ অদম্য ২৪’ প্যানেলের সহসভাপতি পদপ্রার্থী নাইম হাসানের লিখিত অভিযোগ দেন। এর ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর কার্যালয় ৩ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ মাহবুব কায়সারকে আহবায়ক এবং সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূইয়া ও মো. রেজাউল করিম সোহাগকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এছাড়া একই ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের আরেকটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি করেছে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশন। এই কমিটিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক কাজী মোস্তাক গাউসুল হককে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর জাহাঙ্গীর আলমকে সদস্য করা হয়েছে। তাদের আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে
এর আগে ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আবেদন করেছিলেন ওই ছাত্রী।
ওই রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গতকাল সোমবার ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলী হোসেন রিটকারী ওই ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন।
এদিকে হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে এবং গণধর্ষণের হুমকিদাতার বিচার চেয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল। এছাড়া সংবাদ সম্মেলন করে গণধর্ষণের হুমকিদাতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
আই/এ