মধ্যপ্রাচ্য-রাশিয়ায় রপ্তানি বাজার খুঁজছে ভারত
আমেরিকান শুল্কের চাপে ভারতে শ্রমিক ছাঁটাই
ভারতে প্রধান টেক্সটাইল রপ্তানিকারক সংস্থা JVS এর একজন ব্যবস্থাপনা অংশীদার মঙ্গলবার জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক প্রবর্তনের কারনে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা গভীর উদ্বিগ্ন। বিদেশি ক্রেতাদের চাপে আছেন তারা।
রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির কারনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গেল ৬ আগস্ট একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। তাতে ভারতীয় পণ্য আমেরিকায় রপ্তানি করলে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। একারনে ২৭ আগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যের শুল্ক ৫০ শতাংশ হয়ে যায়। টেক্সটাইল খাতে এই হার আরও বেশি, প্রায় ৬০ শতাংশ হয়। বাড়তি শুল্কের কারণে, এখাতটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেভিএস এক্সপোর্ট এর ব্যবস্থাপনা অংশীদার মারিয়া ব্রিটো বলেছেন, “তাদের ক্রেতারা ভারত ছাড়তে চান না। কিন্তু উচ্চ শুল্কের কারণে তারা খুচরা দাম বাড়াতে পারছেন না। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী মাস থেকে বেচা-কেনা ব্যাপক কমবে।
ব্রিটো আরও বলেন, তারা সব শ্রমিকদের কাজ দিতে পারছেন না। কোম্পানিগুলো বেতনও কমাতে পারছে না। কারণ ন্যূনতম মজুরি আইন আছে। একারনে কিছু কোম্পানি গোপনে কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী দেশুগুলোর জন্য মার্কিন শুল্ক অনেক কম নির্ধারণের কারনে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের সমস্যা আরও বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিকল্প বাজার খুঁজছেন ভারতীয়রা। ব্রিটো আরও বলেন, “এখন তারা ভাবছেন কিভাবে রাশিয়ার ও মধ্যপ্রাচ্যেও রফতানি করা যায়। পাশাপাশি অন্যান্য দেশে রফতানি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছেন তারা। একই সময়ে ভারত সরকার ‘স্বদেশী’ বা ‘ভোকাল ফর লোকাল’ মন্ত্রকে প্রচার করছে। নিজ দেশের একশ চল্লিশ কোটি মানুষকে দেশের পণ্য কিনতে উৎসাহিত করছে। উৎসাহিত করছে রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতি কমাতে।