আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতিতে রাজি হামাস, গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি পরিকল্পনার কিছু শর্ত মেনে নিয়ে জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। এরই প্রেক্ষিতে ইসরাইলকে গাজায় অবিলম্বে বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শনিবার (০৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে নিরস্ত্রীকরণসহ বেশ কয়েকটি জটিল বিষয় এখনও অনিশ্চিত রয়ে গেছে।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাতে জানা গেছে, হামাসের প্রতিক্রিয়ার পর ইসরাইল জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

গেল সপ্তাহে ট্রাম্প সতর্ক করেছিলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রস্তাব না মানলে হামাসকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। সেই চাপের মধ্যেই শুক্রবার হামাস ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার জবাব পাঠায়।

ট্রাম্প নিজেকে এ সংকটের প্রধান সমাধানকারী দাবি করে বলেন, “হামাস প্রমাণ করেছে তারা স্থায়ী শান্তির পথে এগোতে রাজি। এখন দায়িত্ব ইসরাইল সরকারের।” 

তিনি আরও বলেন, “বোমাবর্ষণ বন্ধ না করলে জিম্মিদের নিরাপদ মুক্তি সম্ভব নয়। বিষয়টি শুধু গাজার নয়, বরং দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির প্রশ্ন।”

তবে গাজার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের বার্তার পরও ইসরাইলি বাহিনী গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। গাজা সিটির তালাতিনি সড়ক, রিমাল এলাকা এবং খান ইউনুসে ট্যাংক ও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।

এখনও পর্যন্ত ইসরাইল সরকার ট্রাম্পের আহ্বান বা হামাসের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তবে বিরোধী নেতা ইয়াইর লাপিদ মনে করেন, ইসরাইলের উচিত অবিলম্বে আলোচনায় অংশ নেওয়া। জিম্মিদের পরিবারগুলোও নেতানিয়াহুর প্রতি একই দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ইসরাইলে প্রায় ১,২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। বর্তমানে ৪৮ জন জিম্মি রয়ে গেছে বলে জানা যায়, যাদের মধ্যে মাত্র ২০ জন জীবিত বলে দাবি করছে ইসরাইল।

 

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, ইসরাইলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক। জাতিসংঘের তদন্ত দলসহ একাধিক মানবাধিকার সংস্থা এ অভিযানকে গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে ইসরাইল জবাবে বলছে, এটি তাদের আত্মরক্ষার যুদ্ধ।

 

এমএ//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন