জাতীয়

কার্গো ভিলেজ থেকে অস্ত্র চুরির বিষয়টি নিশ্চিত নই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় সেখান থেকে আসলেই অস্ত্র চুরি হয়েছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে  কোর কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব ওই কমিটির প্রধান। তিনি বেশ কয়েকটি দেশে চিঠি দিয়েছেন। দুই-একটা দেশ থেকে এক্সপার্টরা ইতোমধ্যেই এসেছেন। তবে আসলেই সেখান থেকে অস্ত্র চুরি হয়েছে কিনা তা তদন্তের পর জানা যাবে

তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিনিয়র সচিব নিজেও অনুসন্ধান করছেন। চুরি যদি হয় তাহলে কার মাধ্যমে হয়েছে এবং কে দায়ী তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত কয়টি অস্ত্র চুরি হয়েছে বা আদৌ চুরি হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি

জানা গেছে, গত ১৮ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুনের পরও অক্ষত থাকা স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে অত্যাধুনিক ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত ২ নভেম্বর দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

চুরি হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম ৪ কারবাইন ও ব্রাজিলের তৈরি টরাস পিস্তল। তবে কোন অস্ত্র কতটি চুরি হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  এ নিয়ে বিমানবন্দর থানার পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে এবং পুলিশ সদর দপ্তরকেও জানানো হয়েছে।

বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা আরও জানান, ওই স্ট্রংরুমের ভল্টে মূল্যবান জিনিস, আমদানির কাগজপত্র, শুল্কসংক্রান্ত নথি, গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক দলিল, সোনা, হীরা ও আগ্নেয়াস্ত্র রাখা হয়। কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকা স্ট্রংরুম থেকে পণ্য-নথি বের করতে হলে একাধিক সংস্থার কর্মকর্তার স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়।

এত বিষয় অতিক্রম করে কিভাবে ভল্ট ভাঙ্গার ঘটনা ঘটলো সেটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন