দেশের সর্বোচ্চ পতাকাস্ট্যান্ডে উড়লো লাল-সবুজের পতাকা
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্তে দেশের সর্বোচ্চ পতাকাস্ট্যান্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করা হলো লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা। ১১৭ ফুট উঁচু এই স্ট্যান্ডে এখন থেকে প্রতিদিনই গর্বভরে উড়বে স্বাধীনতার প্রতীক এই পতাকা।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় সংগীতের সুরে সুরে ৩০ ফুট বাই ১৮ ফুট আয়তনের বিশাল পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এই ঐতিহাসিক আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
এর আগে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পতাকা বহন করে আনা হয়। পরে ফলক উন্মোচন ও বেলুন উড়িয়ে পতাকাস্ট্যান্ড উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পতাকা উত্তোলনের দায়িত্ব বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এই পতাকা শুধু কাপড়ের টুকরো নয়—এটি আমাদের স্বাধীনতা, গৌরব ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। দেশের পতাকা ও সার্বভৌমত্বের ওপর কোনো প্রকার আধিপত্যবাদী দৃষ্টি বরদাশত করা হবে না।
স্থানীয় শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, “আমার দেশের পতাকা সবচেয়ে উঁচুতে উড়তে দেখে আমি গর্বিত। এই দৃশ্য আমাদের জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “আগামীর বাংলাদেশে কেউ যদি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে, তাহলে ১৯৭১ সালের মতো আবারও রক্ত দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। আধিপত্যবাদের শকুনদের কোনো স্থান এই ভূখণ্ডে নেই।”
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মনিরুল ইসলাম বলেন, “আমরা গৌরবের এই পতাকা সবসময় সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
জেলা প্রশাসক সাবেত আলী জানান, “স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই পতাকাস্ট্যান্ড নির্মাণ করা হয়েছে। এটি শুধু একটি স্থাপনা নয়, আমাদের জাতীয় গর্ব ও ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।”
বাংলাবান্ধার সীমান্ত আকাশে এখন উঁচুতে উড়ছে লাল-সবুজের সেই পতাকা—যা স্বাধীনতার গৌরব ও বাংলাদেশের সার্বভৌম মর্যাদার প্রতীক।