স্মার্টফোনই হতে পারে ভূমিকম্পের প্রথম সতর্ককারী
আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এর উৎস ছিল নরসিংদীর মাধবদী এলাকায়। ভূমিকম্পের আগে সাধারণত আগাম সতর্কতার সুযোগ নেই। তবে কম্পন শুরু হওয়ার সাথে সাথেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিছু অ্যাপ ব্যবহারকারীদের দ্রুত সতর্কতা পাঠাতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে গুগলের আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেমসহ আরও কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ।
গুগলের আর্থকোয়েক অ্যালার্টস সিস্টেম
গুগল ২০২০ সালে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য ভূমিকম্প সতর্কতা ফিচার চালু করে। স্মার্টফোনে থাকা ক্ষুদ্র অ্যাক্সিলোমিটার যখন অস্বাভাবিক কম্পন শনাক্ত করে, তখন সিস্টেমটি তা বিশ্লেষণ করে কাছাকাছি এলাকায় থাকা ব্যবহারকারীদের সতর্কবার্তা পাঠায়।
এই ফিচারে ভূমিকম্পের উৎস, মাত্রা এবং কীভাবে নিরাপদ থাকা যায়—সবই জানিয়ে দেওয়া হয়।
নিজের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফিচারটি চালু করতে সেটিংসে গিয়ে Safety & Emergency → Earthquake Alerts অপশন অন করতে হয়।
মাই আর্থকোয়েক অ্যালার্টস অ্যাপ
বিশ্বজুড়ে এক কোটিরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর কাছে জনপ্রিয় এই অ্যাপটি। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ভূমিকম্প ট্র্যাকিং টুল, যা রিয়েল-টাইম ডেটার ভিত্তিতে ব্যবহারকারীকে নতুন কম্পন সম্পর্কে জানায়।
অ্যান্ড্রয়েড এবং iOS—দুই প্ল্যাটফর্মেই অ্যাপটি বিনামূল্যে পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীরা সাম্প্রতিক কম্পনগুলোর অবস্থান, মাত্রা ও সময় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেখতে পারেন।
মাইশেক অ্যাপ
ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি, বার্কলের গবেষকদের তৈরি MyShake অ্যাপ স্মার্টফোনের সেন্সর ব্যবহার করে ভূমিকম্প শনাক্ত করে এবং ব্যবহারকারীকে তাৎক্ষণিক বার্তা পাঠায়।
এটি শুধু সতর্কবার্তাই দেয় না—ব্যবহারকারীরা তাদের ফোনের সেন্সর ডেটা শেয়ার করে বৈজ্ঞানিক গবেষণায়ও সহযোগিতা করতে পারেন। প্রায় ১০ লাখ মানুষ বর্তমানে অ্যাপটি ব্যবহার করছেন। অ্যান্ড্রয়েড ও iOS—দুই প্ল্যাটফর্মেই অ্যাপটি বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যায়।
যদিও ভূমিকম্প পুরোপুরি আগে থেকে জানা যায় না, তবুও এই অ্যাপগুলো কম্পন শুরু হওয়ার মুহূর্তে দ্রুত সতর্কবার্তা পাঠিয়ে মানুষকে কিছুটা এগিয়ে রাখে। ফলে ঝুঁকি কমানো, নিরাপদ স্থানে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় পাওয়া যায়।
এসি//