দেশজুড়ে

‘অপারেশন ফার্স্ট লাইটে’ গ্রেপ্তার ৭২

পাবনার ঈশ্বরদী ও নাটোর জেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’-এ ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঈশ্বরদীতে বিএনপি–জামায়াত কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ তৎপরতা চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঈশ্বরদী ছাড়াও নাটোরের নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলাজুড়ে এ অভিযান চালানো হয়।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান। 

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য, মামলার আসামি, মাদক ব্যবসায়ী ও পরোয়ানাভুক্ত অভিযুক্তরা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে অপরাধ দমনে গেল ৯ নভেম্বর থেকে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ পরিচালিত হচ্ছে। প্রথম ধাপে রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও কুষ্টিয়ার চরাঞ্চলে সক্রিয় সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালানো হয়। ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ধাপে নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিযান চালানো হয়। 

চলমান অভিযানের তৃতীয় ধাপে নাটোর ও পাবনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

ডিআইজি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ৭২ জনের মধ্যে দুজন সর্বহারা গোষ্ঠীর সদস্য, একজন ডাকাত দলের সদস্য, একজন অস্ত্রধারীর সহযোগী, নিয়মিত মামলার আসামি ২০ জন, মাদক মামলার ৪ জন, ২৩ জন গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত এবং সন্দেহভাজন বা ফ্যাসিস্ট হিসেবে চিহ্নিত ২২ জন রয়েছেন।

অভিযানে একটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, তিনটি দেশীয় অস্ত্র, এক কেজি ১০০ গ্রাম গাঁজা এবং সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন পলাতক থাকা নাটোরের সিংড়া উপজেলার নিঙ্গইন ভাটোপাড়া গ্রামের ডাকাত দলের সদস্য শহিদুল ইসলামকেও আটক করা হয়েছে, যার বিরুদ্ধে আটটি মামলা বিচারাধীন।

ডিআইজি শাহজাহান বলেন, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা সক্রিয় হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তাই আসন্ন নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রাখতে পুলিশ কড়াভাবেই এসব বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে।

 

এমএ//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন