জাতীয়

তফসিলের আগে আবারও সংশোধন হচ্ছে আরপিও

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতির মধ্যেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) আবারও সংশোধন করতে যাচ্ছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এবং আচরণবিধি। মূলত পোস্টাল ভোটিং যুক্ত হওয়ার পর গণভোট অধ্যাদেশের সঙ্গে আরপিওর সামঞ্জস্য বিধানের জন্যই এ সংশোধন আনা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণার কথা রয়েছে।

বুধবার (০৩ নভেম্বর) আরপিও সংশোধন সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি হয়। এর আগে গেল ১০ নভেম্বর নতুন আচরণবিধি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। সর্বশেষ ২৫ নভেম্বর সরকার গণভোট অধ্যাদেশ জারি করে। এসব পরিবর্তনের মাঝে রাজনৈতিক দলগুলোর সুপারিশ, বিশেষ করে পোস্টার নিষিদ্ধের পর বিলবোর্ড ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আরোপ এবং আচরণবিধির করণিক ও ভাষাগত ত্রুটি চিহ্নিত হওয়ায় আবারও সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে ইসি।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, গণভোট যুক্ত হওয়ায় আরপিওতে সংশোধন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে প্রস্তাবনা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর আচরণবিধির সংশোধন ইসিই করতে পারবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আরপিওতে যে সংশোধন আসছে-

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এর অনুচ্ছেদ ২৭-এ প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো হলো- পোস্টাল ব্যালটে প্রতীকের বিপরীতে ক্রস বা টিক চিহ্ন না দিলে তা গণনা করা হবে না। আদালতের রায়ে প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন এলে ওই আসনের জমা হওয়া পোস্টাল ব্যালটও গণনা করা হবে না। ঘোষণাপত্রে ভোটারের স্বাক্ষর না থাকলে পোস্টাল ব্যালট গণনায় নেবে না।

তবে জোট করলেও স্ব স্ব দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পক্ষ-বিপক্ষ থাকলেও তাতে কোনো সংশোধন আনছে না নির্বাচন কমিশন।

আচরণ বিধিমালার করণিক ভুল ও নতুন যে প্রস্তাবনা করা হয়েছে-দফা ৪-এর উপ-বিধি (৩), বিধি ৬ এর উপ-বিধি (ক), (খ), (গ), (ঘ), বিধি ৯-এর উপ-বিধি (গ) এবং বিধি ২৬-এর উপ-বিধি (৩) এর মতো বিভিন্ন স্থানে ভাষাগত ও করণিক ভুল (যেমন: ‘করিবে’ শব্দের স্থলে ‘করিতে পারে’) সংশোধন করা হচ্ছে।

এ বিধিমালার ১৪(খ) তে যে সংশোধনী প্রস্তাব রাখা হয়েছে- সংসদীয় আসনের প্রতি ইউনিয়ন বা পৌরসভা বা মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রতি একটি অথবা নির্বাচনি এলাকায় ২০টি (যা বেশি হয়)-এর অধিক বিলবোর্ড ব্যবহার করা যাবে না। এর ফলে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে বিলবোর্ডে প্রচারের সুযোগ তৈরি হবে।

বিধি ১৭-এর উপবিধি (১) সংশোধন: নির্বাচনি প্রচারে মাইক ব্যবহারের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হচ্ছে।

 

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন