রাজনীতি

যমুনা অভিমুখে বাম দলগুলোর মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ

ছবি: সংগৃহীত

জনমত উপেক্ষা করে লাভজনক চট্রগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাম দলগুলোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের ধ্বস্তাধস্তিতে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের কয়েকজন আহত হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকড়াইল মোড়ে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।  বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশ জাসদ ও জাতীয় গণফ্রন্ট এ পদযাত্রার ডাক দেন।

এর আগে আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যমুনা ভবন ঘেরাও করতে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে রওনা দেন। এ সময় আমার দেশের মোহনা, বিদেশিদের দেবো না বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার, বিদেশিদের হবে না পুলিশ দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।

এ সময় বক্তারা বলেন, লালদিয়ায় টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য ডেনমার্কের কোম্পানি এপিএম টার্মিনালের সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি এবং পানগাঁওয়ে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত নৌ টার্মিনালের ব্যবস্থাপনা সুইস কোম্পানিকে ২২ বছরের জন্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থবিরোধী। এ দুটি চুক্তি বাতিল করতে হবে

আন্দোলনকারীদের দাবি, চট্রগ্রামের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল, পতেঙ্গা বে-১ ও বে-২ টার্মিনাল এবং মংলা বন্দরের মতো কৌশলগত স্থাপনাগুলো বিদেশি বহুজাতিক বা সাম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেওয়ার পদক্ষেপও অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

মিছিলটি কাকরাইল মোড়ে পৌঁছলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। এরপর সেখানেই বাম জোটের কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন।

সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স  বলেন, আজকের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলায় কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকাকেল ৪টায় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিলসহ দাবি না মানলে আগামীতে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ নিষিদ্ধ। যাঁরা কর্মসূচি দিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় কথা হয়েছে। তারপরও তাঁরা যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে থামানোর চেষ্টা করে। এ সময় তাঁদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। এটাকে সেই অর্থে লাঠিপেটা বলা যাবে না। তাঁদের যমুনার দিকে যেতে বাধা দেওয়া হয়।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন