পুলিশ কর্মকর্তা ভাইয়ের মারধরে আহত চাচাতো ভাই
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় পুলিশের এএসআই আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার চাচাতো ভাইকে মারধর এবং ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত মোফাজ্জল হোসেন এখন পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা ফয়েজ উদ্দিনের বড় ছেলে এবং বর্তমানে শরীয়তপুর জেলা পুলিশে কর্মরত।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) উপজেলার ঘাগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মোফাজ্জলের বড় বোন সালমা এ ঘটনায় বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা করেছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ,সম্প্রতি ছুটিতে বাড়ি এসেছেন এএসআই আরিফুল। ঘটনার দিন রাতে বাড়ি এসে চাচাতো ভাই মোফাজ্জেলকে কামড়ে ও পিটিয়ে আহত করেন।
মোফাজ্জেলের সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিলো। মারধরের পর মোফাজ্জলের প্রবাসে যাওয়ার জন্য জমানো ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে আরিফুল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শেখ হাসিনা সরকারের সময় মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুযোগে চাকরিতে ঢোকার পর থেকেই আরিফুল ও তার ভাই শরীফুল এলাকায় কথায়-কথায় হুমকি-ধমকি, আধিপত্য বিস্তার আর মারধরের জন্য কুখ্যাত। এমনকি ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রাও রেহাই পাননি তাদের আচরণ থেকে।
আহত মোফাজ্জেল জানান, “চাকরিতে ঢোকার পর থেকেই আরিফরা এলাকায় আধিপত্য দেখায়। আমাকে মারার সময় সে বলে— ‘আমি পুলিশ, মারলেও আমাদের কোনো বিচার নাই'। এ সময় তিনি প্রশাসনের কাছে এ হামলার বিচার দাবি করেন।
মামলার বাদী সালমা আক্তার জানান, “যে পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দেবে, সেই পুলিশই যদি আমাদের ওপর হামলা করে, তাহলে বিচার পাবো কোথায়? অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু সে যেভাবে ভয় দেখায়, আমরা চিন্তায় আছি, তার ডিপার্টমেন্ট কি আমলে নিবে? আমরা কি বিচার পাব? আমার ভাইয়ের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
অভিযুক্ত এএসআই আরিফুল অভিযোগের বিষয়ে জানান “এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধান হবে।”
পাকুন্দিয়া থানার ওসি এস. এম. আরিফ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন একজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আই/এ