আন্তর্জাতিক

আবারও ইরানকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিল ইসরাইল

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়ে। তিনি বলেছেন, ইরান যেন তার পারমাণবিক প্রকল্প পুনরায় সক্রিয় করতে না পারে—তা নিশ্চিত করাই ইসরাইলের লক্ষ্য।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানায় ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামলার ছয় মাস পর এই সতর্কবার্তা দেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জেরুজালেমে মোসাদের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বার্নিয়ে বলেন, ইসরাইল ধ্বংসের অঙ্গীকার করা একটি রাষ্ট্র হিসেবে ইরান এমন মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে, সামরিক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্য ছাড়া যার কোনো যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা নেই। সুযোগ পেলেই তারা দ্রুত সেই পথে এগোবে।

তিনি বলেন, “ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পটি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় আমাদের দায়িত্ব হলো—এই প্রকল্প আর কখনো সক্রিয় না হতে দেওয়া।”

মোসাদ প্রধান এ সময় ইসরাইলের আকস্মিক সামরিক অভিযানের প্রশংসা করেন। তার মতে, এই অভিযান ইরানের অভ্যন্তরে ইসরাইলি গোয়েন্দাদের বিস্তৃত অনুপ্রবেশ ও কার্যকর তথ্য সংগ্রহের সক্ষমতা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করেছে।

বার্নিয়ে আরও বলেন, “ইরান এখন বুঝে গেছে যে তারা সম্পূর্ণ উন্মুক্ত ও অনুপ্রবেশযোগ্য। তবে এরপরও তারা ইসরাইল ধ্বংসের লক্ষ্য থেকে সরে আসেনি।”

ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সমাধান নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তার ভাষায়, ইরান আবারও বিশ্বকে বিভ্রান্ত করে একটি ‘খারাপ’ পারমাণবিক চুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। ইসরাইল এমন কোনো চুক্তি হতে দেবে না।

পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ করে আসছে। যদিও ইরান তা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

ইসরাইলের দাবি, যুদ্ধ শুরুর সময় ইরান কার্যত পারমাণবিক অস্ত্রায়নের পথে এগোচ্ছিল। অন্যদিকে, ইরানের দাবি—গেল জুনের যুদ্ধে ইসরাইলি হামলায় দেশটিতে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। জবাবে ইরান ইসরাইলের দিকে ৫০০টির বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ১ হাজার ১০০টি ড্রোন নিক্ষেপ করে।

ইসরাইলি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, এসব হামলায় দেশটিতে ৩২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও তিন হাজার মানুষ।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন