এনসিপি নেত্রী রুমির মৃত্যুর সুরতহাল প্রতিবেদনে যা বলছে পুলিশ
এনসিপি নেত্রী জান্নাতারা রুমির মৃত্যুর ঘটনায় সুরতহাল প্রতিবেদনে শরীরের কোথাও আঘাতের কোনও আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কপাল, ঘাড় ও মাথায় কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। চোখ ও মুখ বন্ধ অবস্থায় ছিল। গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির কালো দাগ দেখা গেছে। ঠোঁট, নাক ও মুখমণ্ডলে অন্য কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
সুরতহাল প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মৃতের হাত দুটি শরীরের সঙ্গে লম্বালম্বি অবস্থায় লাগানো ছিল এবং হাতের আঙ্গুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ ছিল। হাত, বুক, ঘাড়, পেট ও পিঠে কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। শরীরের অন্যান্য অংশ স্বাভাবিক ছিল। ঊরু, হাঁটু ও পা স্বাভাবিক লম্বালম্বি অবস্থায় ছিল এবং সেখানেও কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, জান্নাতারা রুমি তার রুমে ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করে থাকতে পারেন। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
রুমীর চাচাতো ভাই মেহেদি হাসান জানান, রুমির দুই ঘরে এক ছেলে (৪) ও এক মেয়ে (২) রয়েছে। ছেলে–মেয়েরা তাদের নিজ নিজ বাবার কাছে থাকে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়বার বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পরই জান্নাতারা বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। এই বিষণ্নতা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হচ্ছে।
জান্নাতারা রুমি সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র মেডিকেল কলেজ থেকে নার্সিং পাস করেছিলেন তিনি গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বলেও জানান মেহেদী।
আই/এ