পহেলা জানুয়ারি থেকে বন্ধ হচ্ছে যেসব সিম কার্ড
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিম ব্যবহারে আরও কড়াকড়ি আরোপ করছে সরকার। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ পাঁচটি নতুন সিম নিবন্ধন করতে পারবেন। বর্তমানে যাদের নামে ছয় থেকে ১০টি সিম রয়েছে, সেগুলোর সংখ্যাও ধাপে ধাপে কমিয়ে পাঁচে নামিয়ে আনা হবে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, অনিয়ম ও অপব্যবহার রোধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও মোবাইল ফোন অপারেটররা আগের মতোই আপত্তি জানিয়েছে, তবে বিটিআরসি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অনড়।
বিটিআরসির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, রাস্তাঘাটে সিম বিক্রির সময় কিছু অসাধু বিক্রেতা গ্রাহকের অজান্তে বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ করছে। এসব তথ্য ব্যবহার করে অবৈধভাবে অতিরিক্ত সিম নিবন্ধন করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে একজন গ্রাহক এক দিনেই দুইটির বেশি সিম কিনছেন, যা স্বাভাবিক নয় বলে মনে করছে সংস্থাটি।
এর আগে গেল আগস্টে বিটিআরসি এক ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি সিম থাকলে অতিরিক্ত সিম ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বাতিল বা মালিকানা পরিবর্তনের নির্দেশ দেয়। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও প্রায় ৫০–৫৩ লাখ সিম এখনো বাতিল হয়নি। এসব সিম সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, তিন মাস সময় দেওয়ার পরও যারা ডি-রেজিস্ট্রেশন করেননি, তাদের সক্রিয় সিম পর্যায়ক্রমে বাতিল করা হবে। অন্যদিকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এমদাদ উল বারী স্পষ্ট করে বলেন, পয়লা জানুয়ারি থেকে নতুন করে পাঁচটির বেশি সিম নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে না।
বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত দেশে বর্তমানে মোট নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা ২৬ কোটি ৬৩ লাখ। সক্রিয় মোবাইল সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি ৭৯ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের গ্রাহক ৮ কোটি ৫৯ লাখ, রবির ৫ কোটি ৭৫ লাখ, বাংলালিংকের ৩ কোটি ৭৯ লাখ এবং টেলিটকের ৬৬ লাখ ৭০ হাজার।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সিম ব্যবহারকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ বর্তমানে নবম অবস্থানে রয়েছে।
এসএইচ//