আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

এক ম্যাচ আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিউজিল্যান্ডের

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশকে ২৭ রানে পরাজিত করে তারা।

নেপিয়ারে বৃষ্টি বিঘ্নিত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে টার্গেট নিয়ে রীতিমতো হয়ে গেল বিশাল এক ‘নাটক’। প্রথমে বৃষ্টির কারণে ১৬ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৪৮ রান। ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ বলে দলের রান যখন বিনা উইকেটে ১২ তখনই খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। নতুন করে খবর এলো টার্গেটের হিসেবে ভুল হয়েছে। ডাকওয়ার্থ পদ্ধতিতে জিততে হলে ১৬ ওভারে করতে হবে ১৭১ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।

এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে কিউইরা সংগ্রহ করে ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান। কিন্তু বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্র দাঁড়ায় ১৬ ওভারে করতে হবে ১৭০ রান।
 
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা খারাপ হয় লিটনেন কারণে। কিউইদের মাঠে বরাবরের মতো ব্যর্থ লিটন এবারও রান দেখা পেলেন না। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমত ঝড় তোলেন সৌম্য। ইস শোধির এক ওভারে পর পর দুই ছক্কায় নেন ১৯ রান। একটা সময় সৌম্যের রান দাঁড়ায় ১৫ বলে ৪০। মনে হচ্ছিল ১৪ বছর আগে করা আশরাফুলের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ভেঙে দিবেন। কিন্তু কিউই বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে পরের ১০ রান করতে ১০ বল খেলতে হয় সৌম্যকে। ২৫ বলে তুলে নেন ফিফটি। এরপরই ২৭ বলে ৫১ করে বিদায় নেন তিনি।

এর কিছুক্ষণ পরই ৩৫ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নেন নাইম শেখও। এরপর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর ১২ বলে ২১ রান ছাড়া কেউই তেমন রান করতে পারেননি। আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করলেও আফিফ ফেরেন এবার ৪ বলে ২ করে। শেষ দিকে মাহাদি হাসান ৬ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকলেও তাতে কেবল ব্যবধানই কমেছে।

কিউইদের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি, হামিষ বেনেট ও আদম মিলনে।

এর আগে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান মাহমুদুল্লাহ। ক্রিজে নেমেই ওপেনার মার্টিন গাপটিল এবং ফিন অ্যালেন টাইগার বোলারদের উপর ঝড় তোলেন। তাসকিনের বলে মাহমুদুল্লাহর হাতে জীবন পেলেও নাইম শেখের হাতে ধরা পড়েন অ্যালেন। তখন দলীয় রান ৩৬। 

এরপর দলীয় ৫৫ রানে সাইফউদ্দিনের পায়ের কাছে করা বলকে অনায়েসে ফ্লিক করে বাউন্ডারিতে পাঠাতে চেয়েছিলেন গাপটিল। কিন্তু তাসকিনের অসাধারণ ক্যাচে ডাগআউটে ফিরতে হয় তাকেও। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে কনওয়েকে মিথুনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান শরিফুল।

এরপর দলীয় ১০০'র আগে মেহেদিকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন ইয়াং। ১৪ রানে ফিরেন তিনি। এর খানিক পরই ম্যাচে হানা দেয় বেসরিক বৃষ্টি। বৃষ্টির শেষে আবার খেলা শুরু করলে এবার কিউই শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদি হাসান। নিজের বলে নিজে ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন মার্ক চ্যাপম্যানকে। এরপরই আবার বেরসিক বৃষ্টি মাঠে আঘাত হানে। অবশ্য এর আগে গ্ল্যান ফিলিপস নিজের অর্ধশত তুলে নেন। তিনি ৩১ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। অপরপ্রান্তে ডারেল মিচেল ১৬ বলে ৬ চানে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশের হয়ে মেহেদী হাসান ২টি, সাইফউদ্দিন, তাসকিন ও শরিফুল প্রত্যেকে একটি করে উইকেট লাভ করেন।

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন